আবারও বিবিসির সেরা আফ্রিকান ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন মোহামেদ সালাহ। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সম্মানজনক এই পুরস্কার নামের পাশে যোগ হল লিভারপুলের মিশরীয় তারকা ফুটবলারের। ‘এই পুরস্কার জয়ের অনুভূতিই অন্যরকম। আমি দারুণ খুশি। আশা করি সামনের বছর আবারও জিততে পারবো’ -বিবিসিকে হাসিমুখেই নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন সালাহ। এই সম্মান অর্জনের দৌড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন রিয়াদ মাহরেজ, ক্লাব-সতীর্থ সাদিও মানে, মেধি বেনাশিয়া, পিয়েরে এমেরিক-অবামেয়াং এর মতো তারকাদের।
২০১৬ সালে এএস রোমা থেকে লিভারপুলে এসেই নিজের প্রতিভার সর্বোচ্চ প্রকাশ করতে পারছেন মিসরীয় উইঙ্গার সালাহ। লিভারপুলের হয়ে প্রথম মরসুমে ৪৪ গোল করে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের কাতারে উঠে আসেন তিনি, খেলেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালও। ২৮ বছর পর এই সালাহ-র ওপর ভর করেই বিশ্বকাপ খেলেছে মিসর। সালাহ-র আগের মরসুমের দুর্দান্ত ফর্ম এই মরসুমেও দেখা যাচ্ছে। নাপোলির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে গোল করে দলকে নিয়ে গেলেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তাই সালাহ এর হাতে তুলে দিতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি বিবিসি কর্তৃপক্ষের।
চূড়ান্ত তালিকায় সালাহ ছাড়াও আরও ছিলেন তাঁর লিভারপুল সতীর্থ সাদিও মানে, আর্সেনালের দুই তারকা—গ্যাবনিজ স্ট্রাইকার পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং ও নাইজেরিয়ার উইঙ্গার অ্যালেক্স ইওবি, জুভেন্টাসের হয়ে খেলা মরক্কোর সেন্টারব্যাক মেধি বেনাশিয়া, ম্যানচেস্টার সিটির আলজেরীয় উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলা ঘানার মিডফিল্ডার থমাস পার্টে, আয়াক্সে খেলা ঘানার গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা, তিউনিসিয়ার উইঙ্গার আনিস বদ্রি, আল আহলির মিসরীয় উইঙ্গার ওয়ালিদ সোলিমান।
নাপোলির হয়ে দুর্দান্ত মরসুম কাটানো সত্ত্বেও এই তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেননি সেনেগালের হয়ে খেলা সেন্টারব্যাক কালিদু কোলিবালি। তালিকায় অনুপস্থিত খেলোয়াড়দের মধ্যে আরও রয়েছেন আয়াক্সে খেলা মরক্কোর মিডফিল্ডার হাকিম জিয়েচ, এসি মিলানে খেলা আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক কেসি, লেস্টার সিটির নাইজেরিয়ার মিডফিল্ডার উইলফ্রেড এনদিদি, টটেনহামের হয়ে খেলা আইভরি কোস্টের ডিফেন্ডার সার্জ অরিয়ের, ক্রিস্টাল প্যালেসের হয়ে খেলা আইভরি কোস্টের উইঙ্গার উইলফ্রেড জাহা প্রমুখ।
২০১৭ সালেও এই পুরস্কার জিতেছিলেন সালাহ। ফলে এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো পুরস্কারটা জেতা হয়ে গেল তাঁর। তাঁর আগে টানা দুইবার এই পুরস্কার জয়ের কৃতিত্ব শুধুমাত্র একজন দেখিয়েছিলেন—বোল্টন ওয়ান্ডারার্স ও পিএসজির মতো ক্লাবে খেলা নাইজেরীয় মিডফিল্ডার জে-জে ওকোচা।
এ বছর রেকর্ড পরিমাণ সমর্থক এই পুরস্কারের জন্য ভোট প্রদান করেছিলেন, বিবিসির ওয়েবসাইটে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার ।




