উত্তরবঙ্গের ৭ টি চা-বাগান অধিগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েও ফেলে রেখেছে কেন্দ্র। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ হয়নি কোনও। এমন পরিস্থিতিতে বাংলার চা-শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগানগুলিতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। মাথা পিছু দেওয়া হচ্ছে ২ টাকা কেজি দরে ৩৫ কেজি চাল। ১৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক চা-দিবস উপলক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের চা-বাগানগুলির শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের এইসব কাজের কথা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আন্তর্জাতিক চা-দিবস উপলক্ষ্যে আজ শনিবার সকালে একটি টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে লেখেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক চা দিবস। বাংলায় চা-বাগানের শ্রমিকদের কল্যাণে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য।বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ, ২ টাকা দরে ৩৫ কেজি চাল, পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে বাগানগুলিতে। চা-পর্যটন নিয়েও আমরা চিন্তাভাবনা করছি’।
এছাড়াও চা-শ্রমিকদের সমস্যা খতিয়ে দেখতে রাজ্যের মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি হাই পাওয়ার কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চা বাগান সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়াই এই কমিটির কাজ। পাশাপাশি রাজ্যের তরফে চা-বাগান পর্যটনেও জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৩ সালের ভারতীয় চা আইনের ধারা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল ডানকান যে ভাবে বাগানগুলি চালাচ্ছিল, তা চা শিল্পের জন্য যেমন ক্ষতিকর, বৃহত্তর সমাজের পক্ষেও তেমনই খারাপ। বাগানগুলির পরিচালনার মানের উন্নতির জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার সেগুলিকে অধিগ্রহণ করছে। এই তালিকায় ছিল বীরপুরা চা বাগান, গারগন্ডা চা বাগান, লঙ্কাপাড়া চা বাগান, তুলসিপাড়া চা বাগান, হান্তাপাড়া চা বাগান, ধুমচিপাড়া চা বাগান এবং ডেমডিমা চা বাগান। এই ৭টি চা-বাগানে মোট কর্মী সংখ্যা ১৭৫৫৫ জন। এই বাগানগুলির অধিগ্রহণ করতে নোটিফিকেশন জারি করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু, বাস্তবে কোনও বাগানই অধিগ্রহণ হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী দাবি জানিয়েছিলেন, ‘হয় চা বাগান অধিগ্রহণ করুক কেন্দ্র, নয়তো নোটিফিকেশন বাতিল করুক’।