ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়াল, শুটার অভিনব বিন্দ্রা, প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় এবং বর্তমান সম্মানীয় কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ ও ক্রিকেটার মিতালি রাজের পর এবার বায়োপিক তৈরি হতে চলেছে ভারতের এই প্রজন্মের সেরা ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়ার ওপর।
পরিচালক আনন্দ কুমার, যিনি দিল্লি হাইটস (২০০৭) এবং জিলা গাজিয়াবাদ (২০১৩) ছবির জন্য বিখ্যাত, তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত এই ছবি।
আনন্দ বলেন, “বিশ্বকাপের সময় আমি লক্ষ্য করেছিলাম, ভারতে খেলার প্যাশনটা বদলে গিয়েছে, কারণ ভারতের তরুণ প্রজন্ম ফুটবলের প্রতি ক্রমশ ঝুঁকছে। ক্রিকেটের থেকে বেশি ফুটবল পছন্দ করছে এই প্রজন্ম। সে কারণেই ফুটবলের ওপর ছবিটা তৈরি করতে চাই এবং সেখানে বাইচুং-এর চেয়ে ভাল আর কেই বা হতে পারত?” তিনি আরও বলেন, “বাইচুংয়ের জার্নিটা একটা ভাল ছবির চিত্রনাট্যের জন্য যথেষ্ট। তিনি পদ্মশ্রী পেয়েছেন এবং অল্পবয়সী ভারতীয়দের কাছে রোল মডেল তো বটেই। অবশ্যই যারা ফুটবলের ভক্ত তাদের জন্য।”
আপাতত চলছে বায়োপিকের স্ক্রিপ্ট তৈরির কাজ। আর প্রশান্তকে এই দায়িত্বটা দিয়েছেন ফিল্ম ডিরেক্টর আনন্দ কুমার। স্ক্রিপ্ট রাইটার ঠিক হলেও, এখনও ঠিক হয়নি ভারতীয় ফুটবলের আইকনকে নিয়ে তৈরি হতে চলা ছবির পরিচালক কে। যেমন ঠিক হয়নি, বাইচুংয়ের চরিত্রে কাকে দেখা যাবে? এখন চলছে শুধুই তথ্য সংগ্রহর কাজ। আর তাই কলকাতায় আসছেন প্রশান্ত পাণ্ডে।
ভারতীয় ফুটবলের আইকনের বায়োপিকে কী থাকবে? তার খোঁজ নিতেই ডার্বি দেখতে রবিবার যুবভারতীতে হাজির থাকছেন বাইচুংয়ের বায়োপিকের স্ক্রিপ্ট রাইটার প্রশান্ত পাণ্ডে। কে এই প্রশান্ত পাণ্ডে? ‘সরকার-২’, ‘পূর্ণা’, ‘রেইড’-এর মতো বলিউড ব্লকবাস্টার ছবির স্ক্রিপ্ট বেরিয়েছে এই প্রশান্ত পাণ্ডের কলম থেকেই। এবার তাঁর কাঁধেই পড়েছে বাইচুংয়ের বায়োপিকের স্ক্রিপ্ট লেখার দায়িত্ব। আর বাইচুংকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করতে গেলে ডার্বি ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভাবা সম্ভবই নয়। কেননা, ফেডারেশন কাপের সেই হ্যাটট্রিকটাই তো পুরো জীবন ঘুরিয়ে দিয়েছিল বাইচুংয়ের। তাই ডার্বির দিন যুবভারতীতে বসে বড় ম্যাচের উত্তাপটা নিতে চাইছেন প্রশান্ত।
তাঁর ওপর বায়োপিক তৈরির খবর শুনে বাইচুং বলেন, “আমি সম্মানিত যে ওঁরা মনে করেছেন আমার জার্নি বড় পর্দায় তুলে ধরার মতো। আশা করব, আনন্দ গল্পটা ভালোভাবেই বলবেন। সিকিমের মতো ছোট শহর থেকে এসে আমার একমাত্র স্বপ্ন ছিল ভারতের হয়ে ফুটবল খেলা। একটা প্রফেশনাল ফুটবল ক্লাব হোক আমার, এটাও চেয়েছিলাম।” তিনি আরও বলেন, “আমি চাইব বাস্তবের কাছাকাছি তৈরি হোক এই ছবি। লেখা নিয়ে একটু আশঙ্কায় ছিলাম, কিন্তু যেই মূহুর্তে জানতে পেরেছি লেখার জন্য প্রশান্ত পান্ডেকে নিয়েছেন আনন্দ, তখন থেকে আমি স্বস্তিতে আছি।”