১০০ দিনের প্রকল্পে যে বাংলাই সেরা, সে কথা স্বীকার করেছিল খোদ কেন্দ্রই। সে বিষয়ে প্রকাশ করা হয়েছিল এক রিপোর্টও। এবার জানা গেছে, রাজ্যের অন্য জেলাগুলিকে পিছনে ফেলে বেশি সংখ্যক পরিবারকে কাজ দিয়ে শীর্ষে রয়েছে হুগলী জেলা প্রশাসন। এই সংখ্যার ভিত্তিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
শুধু তাই নয়। বেশি সংখ্যক পরিবারকে কাজ দেওয়ার পাশাপাশি শ্রমদিবস তৈরির ক্ষেত্রেও পূর্ব বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর রাজ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে হুগলী। আবার ১০০ দিন কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের পর চতুর্থ স্থান দখল করেছে হুগলী জেলা। তাই নিজের জায়গা ধরে রাখার পাশাপাশি প্রতিটি ক্ষেত্রেই আরও উন্নতির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে হুগলীর জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা জানান, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আমাদের জেলা এখন রাজ্যের মধ্যে ভালো জায়গায় রয়েছে। তাই চলতি আর্থিক বছরের শেষেও যাতে ভালো কাজের নজির গড়ে নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে পারি, তার জন্য বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হুগলী জেলায় মোট ৭ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৭৬ জন জব কার্ড হোল্ডার রয়েছেন। যার মধ্যে জেলা প্রশাসন ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৪৯০টি পরিবারকে কাজ দিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৮ লক্ষ ৯৪ হাজার ৫৫৫ জন জব কার্ড হোল্ডার রয়েছেন। তার মধ্যে প্রশাসন ৪ লক্ষ ৪ হাজার ২২২ জনকে কাজ দিতে পেরেছে। তৃতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা তাদের ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪৩৬ জন জব কার্ডধারীর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৯১ টি পরিবারকে কাজ দিতে পেরেছেন। তাই কাজ দেওয়ার নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে হুগলী।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি ১ লক্ষ ৩ হাজার ৪৬০টি পরিবারকে ১০০ দিনের কাজ দিয়েছে। ৬৬ হাজার ৫৯৭টি পরিবারকে ১০০ দিন কাজ দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান। ৬৫ হাজার ৭৯৫ টি পরিবারকে ১০০ দিন কাজ দিয়ে তৃতীয় স্থানে ও ৫৫ হাজার ৫১ জনকে কাজ দিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে হুগলী।
আবার, মোট শ্রম দিবস তৈরিতে প্রথম পূর্ব বর্ধমান জেলা গত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৯টি শ্রম দিবস তৈরি করেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ২ কোটি ৫৭ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৫টি শ্রম দিবস সৃষ্টি করেছে। তৃতীয় স্থানে থাকা হুগলী ২ কোটি ৫৬ লক্ষ ৩৫ হাজার ১২১ টি শ্রম দিবস তৈরি করেছে। ফলে