লোকসভা ভোটের আগে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সেমিফাইনাল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর সেই ম্যাচে পাঁচ রাজ্যেই কার্যত উড়ে যাচ্ছে বিজেপি। ছত্তিশগড়, রাজস্থানে বিজেপির হার আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ভোট গণনা শুরু হতেই মধ্যপ্রদেশেও বিজেপির হারের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামেও দাঁত ফোটাতে পারছেনা গেরুয়া শিবির। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘২০১৯ বিজেপি ফিনিশ’। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির সেই শেষের শুরু হয়ে গেল। ভোটের ফল নিয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে একটি টুইটও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জনগণকেই ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
ওই টুইটে মমতা লেখেন, ‘সেমিফাইনাল প্রমান করে দিল এই রাজ্যগুলিতে কোথাও বিজেপি নেই। ২০১৯ এর ফাইনাল ম্যাচের আগে এটি সঠিক গণতান্ত্রিক ইঙ্গিত। গণতন্ত্রে শেষ পর্যন্ত মানুষই ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ হয়। বিজয়ীদের আমার শুভেচ্ছা’।
ফলপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির এই পিছিয়ে পড়াকে অবিচারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক জয় আখ্যা দিয়েছেন মমতা। তাঁর মতে, ‘অবিচার, নৃশংসতা, স্বতন্ত্র ইন্সটিটিউট গুলিকে ধ্বংস করা, এজেন্সিগুলির অপব্যবহার, কৃষক-যুবক-দরিদ্র মানুষদের জন্য কিছু না করার বিরুদ্ধে জয়’। মমতার কথায়, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে মানুষ। এটাই মানুষের রায় আর দেশের মানুষের জয়’।
ভোট গণনায় পাওয়া খবর অনুয়ায়ী এখনও পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে ৯৯ টি আসন পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস ১১৬ টি আসন।
রাজস্থানে ১০৩টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস, সেখানে বিজেপি ৮০টি আসনে।
ছত্তীসগঢ়ে আবার বিজেপির (২৫) চেয়ে দ্বিগুণ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। তারা ইতিমধ্যেই ৫৭টি আসনে এগিয়ে।
তেলেঙ্গানায় ১১৯টি আসনের মধ্যে ৯৫টি আসনে এগিয়ে গিয়েছে টিআরএস। মাত্র ১৭টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। ফলে কেসিআরের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উত্সব।
মিজোরামে সংখ্যাগরিষ্ঠতা জাদু সংখ্যা পার করে দিয়েছেন এমএনএফ। কংগ্রেস ৯টি ও বিজেপি ২টি আসনে এগিয়ে।