বাংলা ধারাবাহিক বা রোজকার জীবনে জায়ে-জায়ে ঝগড়া খুব সাধারণ এক বিষয়। ঝগড়া থেকে মুখ দেখা বন্ধ এবং কখনও তা খুনের পর্যায়তেও চলে যায়! বাংলার এই ঝগড়ার আঁচ এবার গিয়ে পৌঁছাল সুদূর ব্রিটেনের রাজপরিবারে! দুই জায়ের ঝগড়া নাকি এমন পর্যায়ে গেছে, তার জেরে স্ত্রী মেগানকে নিয়ে প্রিন্স হ্যারি কেনসিংটন প্রাসাদ ছাড়তে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
বিয়ের আগে থেকেই নাকি রাজপরিবারের ছোট পুত্রবধূ মেগান মেনে নিতে পারতেন না বড় জা কেটকে। অশান্তির আগুন জ্বলছিল তখন থেকেই। মেগানের বিয়ের প্রস্তুতির সময়ে তাঁর ব্যবহারে কেঁদেও ফেলেন কেট। তবে যেহেতু রাজপরিবারের অন্দরমহল বলে কথা, তাই ভিতরের অশান্তি বাইরে আনতেন না কেউই।
সুত্রের খবর অনুযায়ী, কেটের এক খাস পরিচারিকাকে যারপরনাই অপমান করে কেটকে রুষ্ট করেন মেগান। সেখান থেকেই যত গণ্ডগোলের সূত্রপাত। দুই জায়ের কথা কাটাকাটিও হয় এই নিয়ে৷ বৌয়ের হয়ে মুখ খোলেন হ্যারি। আর স্বামী উইলিয়ামকে পাশে পান কেট। এই ঘটনার পরে দূরত্ব বাড়ে দুই ভাইয়ের।
এই ঝামেলার পরেই হ্যারি এবং মেগান কেনসিংটন প্রাসাদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।গত বছর বড়দিনের ঠিক আগেই হ্যারি অভিযোগ করেন, দাদা ও বৌদি মেগানকে আপন করে নিতে পারছেন না। তখন ঝামেলা সামলাতে ময়দানে নেমেছিলেন শ্বশুরমশাই চার্লস। স্যান্ড্রিংহামের প্রাসাদে দুই পক্ষকেই বড়দিন কাটানোর জন্য নিমন্ত্রণ করেন তিনি। তাতে লাভ হয়নি। কারণ, তার আগেই নাকি বেশ বড়সড় ঝগড়া হয়েছিল কেট ও মেগানের। সেই তিক্ততা এড়াতেই নাকি এবার বড়দিনে মেগান-হ্যারি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে স্যান্ড্রিংহামে ছুটি কাটাবেন। আর কেট যাবেন বাপের বাড়ি বার্কশায়ারে। যদিও রাজপরিবারের এই খবর উড়িয়ে দিয়েছে।
দাদা আর ভাইয়ের এই লড়াইতে শেষ অবধি জিত কার হবে জানা নেই। তবে ধারাবাহিকের মতই শেষে দুই ভাই এবং বউ আবার মিলেমিশে সংসার করবে এমন আশা কিন্তু অসম্ভব নয় কারণ বাস্তব থেকেই ধারাবাহিক হয় তবে এটা তো রাজপরিবারের ঝামেলা তাই কখন কী হয় তা স্বয়ং বিধাতাও জানেন না!