যোধপুরের উমেদ ভবন সাক্ষী থাকল প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং নিক জোনাসের রুপকথার সবথেকে মধুর অধ্যায়ের। শনিবার খ্রিষ্টান মতে ও রবিবার হিন্দু মতে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন নিক-প্রিয়ঙ্কা ।
শুক্রবার ছিল মেহেন্দি ও সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। শ্রীমতী জোনাস নিজেই ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছেন অনুষ্ঠানের ছবি। যাতে দেখা গেছে দু’জনের খুনসুটির মুহূর্ত। রবিবার দেখা গেল সঙ্গীতের কিছু ঝলক। পাত্র এবং পাত্রী দুই পক্ষেই চলল জোরদার নাচ-গানের প্রতিযোগিতা। প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়াও পা মেলালেন গানের তালে। ছিলেন বোন পরিনীতি এবং বান্ধবী ইশা অম্বানিও। কম যায়নি পাত্রপক্ষও! গান গাইলেন নিকের দাদা জো জোনাস, তাঁর সঙ্গে পা মেলালেন প্রিয়াঙ্কার জা সোফি।
রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। দু’হাতে চুড়া, আবু জানি-সন্দীপ খোসলা জুটির তৈরি পোশাকে প্রিয়াঙ্কা হয়ে উঠেছিলেন আক্ষরিক অর্থেই ‘ড্রিমগার্ল’। নিককে সাজানোর দায়িত্বও ছিল তাঁদের। বিবাহমণ্ডপটি প্রায় ৪০ ফুট উঁচু ছিল। যোধপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনা ফুলে সেজে উঠেছিল উমেদ ভবন। ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মানের ওয়াইনও।
সম্পর্কের কথা স্বীকার করার পর থেকেই বারবার তাঁদের বয়সের পার্থক্য নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন তাঁরা। সেসব কিছুকে উপেক্ষা করে অবশেষে গাঁটছড়া বাধলেন৷ এক যৌথ বিবৃতে তাঁরা বলেছেন, ‘আমাদের বিয়ের সবচেয়ে বিশেষ বিষয় দুটি পরিবারের কাছাকাছি আসা। তাই দুই মতেই বিয়ের আয়োজন। আমরা যেমন চেয়াছিলাম তেমন ভাবেই স্বপ্নের মত বিয়ে হচ্ছে।’ বিয়ের পর্ব শেষ। এবার ফিরে এসে সেলিব্রেশনের পালা। আর তারপর শুরু স্বপ্নের নতুন জীবন।