গত মরশুমে চেন্নাই সিটির কাছে ঘরের মাঠে হারায় সদস্য–সমর্থকদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৎকালীন বাগানের চিফ কোচ সঞ্জয় সেন। পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এবারের পরিস্থিতি গতবারের মতো খারাপ নয়। তবু বর্তমান কোচ শঙ্করলালের কথায় বুঝতে অসুবিধা হয়নি, গত ম্যাচে চার্চিলের কাছে হারের পর শনিবার যুবভারতীতে নতুন চেহারার দুরন্ত ফর্মে থাকা চেন্নাই সিটির মুখোমুখি হওয়ার আগে বাগান শিবির কিছুটা হলেও চাপে আছে। সেটা কাটিয়ে ওঠার রাস্তা খুঁজছেন কোচ শঙ্করলাল।
পাহাড়ে গিয়ে কাশ্মীর জয় করে আসার পর যখন মনে হচ্ছিল মোহনবাগান বুঝি দারুণ ছন্দে পৌঁছে গিয়েছে, ঠিক তখনই ছন্দপতন। ঘরের মাঠে চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে মারাত্মক বিপর্যয়। যে ০-৩ হারকে শুক্রবারও প্র্যাকটিসের পর সাংবাদিক সম্মেলনে বসে কোচ শংকরলাল বলছিলেন, সামগ্রিক দলের বিপর্যয়।
আগের ম্যাচে খারাপ পারফরম্যান্সের পর আজ চেন্নাই সিটির বিরুদ্ধে শংকরলাল নতুন স্ট্র্যাটেজি নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। এত দিন হেনরি-ডিকা নিয়ে দুই স্ট্রাইকারে খেললেও চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মোহনবাগান খেলতে চলেছে সিঙ্গল স্ট্রাইকারে। আর সেই একক স্ট্রাইকারের নাম হেনরি কিসেকা। যার অর্থ আজ বাগানের প্রথম দলের বাইরে থাকছেন ডিপান্ডা ডিকা। আগের দিন প্র্যাকটিসে হাঁটুর নীচে চোট পাওয়ায় প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, চেন্নাই ম্যাচের বোধহয় বাইরে চলে গেলেন হেনরি। কিন্তু গতকাল সকালে প্র্যাকটিসে দেখা গিয়েছে তিনি পুরো ফিট। বাগান টিম ম্যানেজমেন্ট তাই ঠিক করেছে, ফর্মে থাকা চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে অন্য স্ট্র্যাটেজিতে খেলবে দল। চার্চিল ম্যাচে মাঝমাঠে যে ছন্নছাড়া ভাব ছিল, তা কাটাতে শুরু থেকেই ওমর, ইউতা, সৌরভ, সনি, আজহারকে পিছন থেকে খেলিয়ে সামনে শুধু ডিকাকে রেখে চেন্নাইয়ের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে আক্রমণ শানানোর কথা ভাবছেন, এমন একটা ইঙ্গিত মিলেছে শঙ্করলালের অনুশীলনে।
জয়ের ছন্দে থাকলেও বাগানকে এতটুকু হালকা ভাবে নিচ্ছেন না চেন্নাই কোচ আকবর নওয়াজ। বরং বলেই দিলেন, ‘ইস্টবেঙ্গলকে এখানে হারিয়েছি বলে দলে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নেই। লিগ শীর্ষে আছে বলে আত্মতুষ্টিও না। চার্চিলের বিরুদ্ধে বাগান হেরেছে মানে দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই। ওরা সবচেয়ে বেশি পাশ খেলে। আক্রমণভাগ যথেষ্ট শক্তিশালী। বরং মোহনবাগান ঘুমন্ত দৈত্যর মতোই জেগে উঠে আমাদের সংহার করতে পারে।’ তাই ৩ পয়েন্ট পেতে আগাগোড়া সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর ফুটবলারদের।