শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পর ফিরহাদ হাকিমের মেয়র হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। তবে পৌর আইন সংশোধনের পর, কলকাতা পুরসভার মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার ছ’মাসের মধ্যেই তাঁকে যে কোনও একটি ওয়ার্ড থেকে জিতে কাউন্সিলর হতে হবে। শোনা যাচ্ছে, ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই ভোটে দাঁড়াতে পারেন কলকাতার ভাবী মেয়র।
২০০৫ ও ২০১০ সালে পর পর দু’বার চেতলার ওই ওয়ার্ড থেকেই ভোটে জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন ফিরহাদ। আর চেতলাই তাঁর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত। তাই নিজের গড় থেকেই ভোটে দাঁড়ান তিনি, এমনটাই চাইছেন দলের একাধিক কাউন্সিলর। তাঁদের কথায়, ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে ফিরহাদের সাংগঠনিক প্রভাব অনস্বীকার্য। গোটা এলাকাই তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। তাই সেখান থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করুন তিনি।
তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান কাউন্সিলর জানান, ‘৮২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রণব বিশ্বাস দীর্ঘদিন অসুস্থ। তাই, ওঁকে পদত্যাগ করিয়ে ওই ওয়ার্ড থেকেই একসময়ের কাউন্সিলর ববিকে দাঁড় করানোর একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে শেষ কথা বলবেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মেয়র পদে ইস্তফা দেওয়ার পর শোভন জানিয়েছিলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে তিনি ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদও ছেড়ে দেবেন। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, নেতৃত্ব চাইছেন শোভন এখন কাউন্সিলর ও বিধায়ক হিসেবে রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশ নিন। তাই শোভনের ওয়ার্ডেও দাঁড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই ফিরহাদের।
আবার ডিসেম্বর মাসে ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মেয়র পারিষদ তারক সিংয়ের ছেলে অমিত সিংয়ের নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তা হলে যা দাঁড়াচ্ছে, নতুন মেয়রের জন্য সহজলভ্য চেতলার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডই।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই মেয়র পদে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কলকাতা পুরসভা। শনিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন। যা চলবে ২৯ তারিখ পর্যন্ত। পুরসভা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত কারও মনোনয়ন জমা পড়েনি। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী বুধবার, ২৮ নভেম্বর তাঁর মনোনয়ন জমা দেবেন কলকাতার ভাবী মেয়র ফিরহাদ।