জিএসটির কড়া পাকে মিষ্টির স্বাদও এখন তেতো! কেন্দ্রের চাপানো জিএসটির ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন রাজ্যের ছোট ও মাঝারি মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।
আসলে বেশিরভাগ মানুষই এখনও জিএসটি (পণ্য ও পরিষেবা কর) নিয়ে বিভ্রান্ত। নিয়মকানুনের অনেক ফাঁকফোকর বুঝতে পারছেন না অনেকেই। যে কারণে তাঁদের গুনতে হচ্ছে জরিমানা।
রাজ্যের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে শনিবার এক আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি। উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি রামজি চৌরাশিয়া, একে মাইতি, কেন্দ্রীয় খাদ্য গবেষণাগারের আধিকারিক ডি মিশ্র-সহ আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ।
জিএসটি চালু হওয়ার পর তাঁদের ব্যবসায় কী প্রভাব পড়ল, তা নিয়েই মূলত পর্যালোচনা হয় এদিন। যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা। সেখানে অনেকেই জানান, তাঁরা এখনও জিএসটি নম্বর ছাড়াই ব্যবসা করছেন। এবার থেকে তাঁদের জিএসটি নম্বর নিয়ে ব্যবসা করার পরামর্শ দিয়েছে সমিতি।
জিএসটির প্রভাব ব্যবসায় কতটা পড়েছে, সে বিষয়টিই এদিনের আলোচনাসভায় উঠে আসে। এছাড়াও খাদ্য ও পানীয়ের বিষয়ে সুরক্ষা আইনের বিষয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন করেন সভায় উপস্থিত বিক্রেতারা।
মিষ্টির ওপর ৫ শতাংশ এবং নোনতা খাবারের ওপর ১২ শতাংশ জিএসটি লাগু করায় দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছেই। বিক্রেতাদের বক্তব্য, কাঁচামাল, শাক–সবজির মতো মিষ্টি ও নোনতা খাবারও পচনশীল। তাই শাক–সবজির মতো মিষ্টি ও নোনতা খাবারকে জিএসটির আওতার বাইরে যাতে রাখা হয় সেই দাবি রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই দাবি এখনও মানা হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই মিষ্টিতে জিএসটি চালু করার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে সমিতি। এর প্রতিবাদে অনশন ছাড়াও রাজ্যের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে মিছিল–মিটিং করেছেন। গত বছর রাজ্য জুড়ে একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল সমস্ত মিষ্টির দোকান।