বাংলায় উৎসব নিয়ে কটাক্ষকারীদের একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান থেকেই আগামীবারের দুর্গাপুজোকে আরও ভালো করার ডাক দিলেন তিনি। নবান্ন সভাঘর থেকে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান প্রদানের অনুষ্ঠানে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাকে হিংসে করে লাভ নেই। বিশ্বের সব উৎসবের মধ্যে বাংলার দুর্গাপুজো এক নম্বরে। বাংলার উৎসবকে পাল্লা দেবে উৎসবই। আগামীবার দুর্গা পুজো আরও ভালো করে হোক’।
এদিন নবান্ন সভাঘর থেকে বারুইপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই মঞ্চ থেকে উদ্বোধন হয় বারাসাত থানার নবনির্মিত ভবন, ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনের নবনির্মিত ভবন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা ও নরেন্দ্রপুর থানার ভবন।
দুর্গাপুজো থেকে কালীপুজো, ইদ, ছটপুজো, উৎসবের মরশুম সুন্দরভাবে সামলানোর জন্য পুলিশ প্রশাসনকে আলাদাভাবে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে নবান্ন সভাঘরে এসেছিলেন কলকাতা ও জেলার পুজো কমিটির কর্তারা। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সেরা পুজোগুলোকে ৫০ হাজার এবং সেরা মণ্ডপ, সেরা ভাবনা, সেরা আবিষ্কার, সেরা থিম সঙ, আবহ, ব্র্যাণ্ডিং, ঢাকেশ্বরী, বিশ্ব বাংলা সাবেকি পুজো বিজেতাদের ৩০ হাজার টাকা করে অর্থমূল্য দেওয়া হয়। সেরা প্রতিমাকে দেওয়া হয় ২০ হাজার টাকা। শারদ স্মমানে আসা ক্লাব প্রতিনিধিদের নবান্ন সভাঘর কেন তৈরি করা হয়েছে, তাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘নবান্ন ধন্য হবে মানুষের পদার্পণে। যারা মা দুর্গাকে এত করে ডেকেছেন, তাঁদের পদধূলি পড়বে, এইজন্যই এখানে ডাকা’। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চ্যাটার্জি, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।