গোধরার কালো অধ্যায় যেন কিছুতেই পিছুই ছাড়ছে না নরেন্দ্র মোদীর। ২০০২-এর গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন জাকিয়া জাফরি। মঙ্গলবার সেই অভিযোগ গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত। এবং আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এ মামলার শুনানি হবে সোমবার।
জাকিয়া ২০১৪ সালে সিটের রিপোর্টের বিরুদ্ধে গুজরাট হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় গভীর চক্রান্ত হয়েছিল এবং সেই হিংসাত্মক ঘটনা ছড়াতে দেখেও চোখ বুজেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদী। জাকিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে আবেদন করেছিল সমাজকর্মী তিস্তা সেলভড় পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাস্টিস ফর পিস-ও।
কিন্তু গতবছর হাই কোর্ট জাকিয়ার আবেদন খারিজ করে সিটের রিপোর্টকে বহাল রেখে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে হওয়া সিটের ওই তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদী ২০১২ সালের দাঙ্গা রুখতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছিলেন। হাইকোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জাকিয়া। সোমবার সেই আবেদনেরই শুনানি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গোধরা স্টেশনে সবরমতি এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। মৃত্যু হয় ৫৯ জন সাধু-সন্ন্যাসীর। তার পরই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গুজরাট। ২৮ ফেব্রুয়ারি মুসলিম অধ্যুষিত গুলবার্গ সোসাইটি আবাসনে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরির অভিযোগ, এহসানকে আততায়ীরা ঘর থেকে টেনে বের করে রাস্তায় কুপিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন।
জাফরি জানান, কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা সাহায্য চেয়ে থানায় বহুবার ফোন করলেও কেউ ফোন তোলেননি। অর্থাৎ এর পিছনে ছিল কোনও গভীর ষড়যন্ত্র। এবং এই হিংসাত্মক ঘটনায় মোদীও যুক্ত ছিলেন। ফলে তাঁকে ক্লিনচিট কেন? সুপ্রিম কোর্টে এই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি।