তৃণমূল বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দল নয়। তাই ধর্ম নিয়ে রাজনীতিও করে না। আর কেউ তা করলে সেটাও বরদাস্ত করবে না তারা। বিজেপিকে রুখে দেওয়ার সব কৌশল তৃণমূলের জানা আছে। ঠিক সময়েই সেই কৌশল প্রয়োগ করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল মহিষাদল ব্লক তৃণমূল আয়োজিত বিজয়া সন্মেলনীতে কুমুদিনী ডাকুয়া মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আপনাদের কৌশল বলে দিয়েছিলাম। আবার সময় হলে লাল জামা ছেড়ে গেরুয়া জামা পরা লোকদের কীভাবে ছক্কা মেরে মাঠের বাইরে পাঠাতে হবে, সেই কৌশলও বলে দেব। তৃণমূলের যেমন নীতি থাকে, তেমন কৌশলও থাকে। আমরা সিপিএমের মতো জল্লাদ-হার্মাদ বাহিনীকে তুলে ফেলতে পেরেছি। আমরা জানি কী করতে হবে আর কী না।’
এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস, বিধায়ক সুকুমার দে, ফিরোজা বিবি-সহ স্থানীয় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু বাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘ ওরা ইমামদের ভাতা দিলে বিরোধিতা করে। আবার দুর্গাপুজোর সময় ক্লাবগুলিকে টাকা দিলেও মামলা করে বসে। নিজেরা কোনও কাজ করে না। কিন্তু কেউ কাজ করলে সেটাও ওরা সহ্য করতে পারেনা। আসলে সব কাজে বাধা দেওয়াই হল ওদের কাজ। ওরা সাড়ে ৪ বছর ঘুমিয়ে থাকার পর, ভোটের আগে মন্দির গড়ার জিগির তোলে।’ তাঁর গোটা বক্তব্যেই ছিল বিজেপি বিরোধিতা।