নমো অ্যাপের মাধ্যমে এবার ভোটের জন্য চাঁদা তুলতে শুরু করল বিজেপি। ধনতেরাস থেকে ১৫ দিন এই চাঁদা তোলার অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিরোধীরা কটাক্ষ, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা রয়েছে বিজেপির, তাদের আবার টাকা তোলার কী দরকার? অ্যাপের মাধ্যমে এই চাঁদা তোলার পিছনে গোপন উদ্দেশ্য আছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের অভিযোগ, ‘নমো’ অ্যাপ-এ টাকা দিলে সেই ব্যক্তির নাম, মোবাইল নম্বর চলে আসবে। তার ভিত্তিতে বিজেপি একটি ‘ডেটা-ব্যাঙ্ক’ তৈরি করবে। এক বার চাঁদা দিলে তাঁর মোবাইলে বিজেপির যাবতীয় প্রচার সামগ্রীও আসতে থাকবে।
পাশাপাশি উসকে দেওয়া যাবে আবেগকেও। কারণ, প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদা তোলা হলেও আসলে সে জন্য মানুষের কাছে যেতে হবে কর্মীদের। নিজের এলাকায় মানুষকে জড়ো করে চাঁদা দেওয়ার আবেদন করতে হবে নেতাদের। ফলে যে সব মানুষ গত কয়েক বছরে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের জন্য বিজেপি থেকে দূরে চলে গিয়েছেন, তাঁদের আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা। সে কারণেই ৫ টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। এক বার যিনি টাকা দেবেন, বিজেপির প্রতি আবেগটা থাকবে। তিনি ‘নমো’ অ্যাপ ডাউনলোড করলে মোদীর সঙ্গেও সরাসরি যোগসূত্র তৈরি হবে। সেই হিসাবে এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে চাইছে বিজেপি।
এক সময়ে কমিউনিস্ট পার্টিগুলির নেতা-কর্মীরা এ ভাবে বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাঁদা তুলতেন। বন্যাত্রাণের টাকাও তোলা হতো এ ভাবে। বিজেপিও এবার সেই পথ নিচ্ছে।