ব্রিগেডে সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণ পেয়ে বেজায় বিড়ম্বনায় বাম শরিক নেতারা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল কেন আরএসপিকে ব্রিগেডে আমন্ত্রণ করল, সেই প্রশ্নের মুখে কিন্তু পড়তে হয়েছে আরএসপি নেতৃত্বকে। আরএসপি নেতৃত্বের একাংশের মতে, বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে তাঁদের কিছু আপত্তির কারণেই তৃণমূল এই আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে জল মাপতে চাইছে।
অবশ্য আরএসপি এবং সিপিআই ১৯ জানুয়ারির ওই সমাবেশে না যাওয়ার পক্ষেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। বাকি যে ফ্রন্ট শরিক এখনও বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে, সেই ফরওয়ার্ড ব্লকও শেষমেশ একই পথের পথিক হতে বাধ্য হবে বলেই মনে করছে বাম রাজনৈতিক মহল। ফ্রন্টের বাকিরা মমতার ব্রিগেডে না যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করলে কেবলমাত্র বিজেপি বিরোধিতার ইস্যুকে সামনে রেখে বাংলায় একা ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষে তৃণমূলের মঞ্চে হাজির হওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলেই বাকি শরিকদের অভিমত। পাশাপাশি একমাত্র ফ্রন্ট ছাড়ার মতো কোনও গুরুতর সিদ্ধান্ত না নিলে মমতার পাশে সরাসরি গিয়ে দাঁড়ানোর কোনও বাস্তব অবস্থান ফরওয়ার্ড ব্লকের অন্দরেও নেই এখন।
আরএসপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোজ ভট্টাচার্যের সাফ কথা, ‘তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আমাদের রাজ্য সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধ লড়াই আরও জোরদার করতে হবে’। সিপিএমের কেরল ও বঙ্গব্রিগেডের মধ্যে বিস্তর মতপার্থক্য থাকার সুবিধাটুকুই কাজে লাগিয়েছেন মমতা। সেই কারণে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরো সদস্য পিনারাই বিজয়নকে ব্রিগেডে আসার চিঠি পাঠানোর কথা বলে আলিমুদ্দিনের কর্তাদের খানিকটা অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন তিনি। তবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় ও বঙ্গ নেতারা নিজেদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোচনা করে ঠিক করেছেন, বিজয়ন সহ দলের কোনও প্রতিনিধিই মমতার ব্রিগেডে যাবেন না।