অপেক্ষার কাউন্ড ডাউন। আর তারপর স্বপ্নের লিফট অফ। একাবার চড়ে বসলেই খোদ আপনাকে নিয়ে মহাকাশ পাড়ি দেবে মহাকাশযান! এবং সেই মহাকাশযান টেকঅফ করবে এই কলকাতার মাটি থেকেই! শুনেই একবার লাফিয়ে নেবেন যে কোনও আকাশপ্রেমী।কলকাতাবাসীর জন্য সত্যিই এ এক সুখবর। নিজের শহরে বসেই মহাকাশযানে চড়ার অভিজ্ঞতা ও সৌভাগ্য কি সকলের হয়?
চলতি সপ্তাহেই এমন একটি প্রদর্শন আনছে কলকাতার ‘এম পি বিড়লা তারামণ্ডল’, যেখানে দর্শকরা অনুভব করবেন তাঁরা একটি মহাকাশযানে বসে রয়েছেন। এবং সেই মহাকাশযান তাঁদের নিয়ে পাড়ি দিয়েছে চাঁদে বা মঙ্গলে। ভূমি থেকে রকেট যেভাবে অন্তরীক্ষে নিক্ষিপ্ত হয়, এক্ষেত্রে তারই অনুরূপ অভিজ্ঞতা পাবেন দর্শকরা। এবং তা বিশেষ ত্রিমাত্রিক প্রোজেকশনের সুবাদে।
ঢেলে সাজানোর জন্য মাঝে বেশ কয়েকমাস বন্ধ রাখা হয়েছিল বিড়লা তারামণ্ডল। প্রায় ১৫ মাস আগে তারামণ্ডল আবার চালু হওয়ার পর ‘কসমিক কলিসন’ শীর্ষক প্রদর্শনী চলছে বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি, এই তিন ভাষায়। শুরু হতে চলে নতুন এই প্রদর্শনীর নাম ‘আওয়ার ইউনিভার্স’। সৌরজগত, আকাশগঙ্গা ছায়াপথ, ব্রহ্মাণ্ডের আরও দূরে মহাজাগতিক ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা মিলবে এই প্রদর্শনীতে। ‘কার্ল জেইস’ সংস্থার সহযোগিতায় বিড়লা তারামণ্ডল তৈরি করেছে এই প্রদর্শনীটি।
তারামণ্ডলের অধিকর্তা এবং বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি জানাচ্ছেন, ‘এই বিশেষ প্রদর্শন ভারতে প্রথম। এখানে তারামণ্ডলের প্রোজেকশন কক্ষটিই হয়ে উঠবে যেন একটি স্পেসশিপ। রকেট লিফট অফ-এর কাউন্ডডাউন হবে। দেখা যাবে কলকাতার আশপাশের এলাকা আর স্কাইলাইন পেরিয়ে রকেট পৌঁছে যাচ্ছে মহাকাশে। বাস্তবের স্পেসশিপ-এর মতোই উড়ান এবং অবতরণ-দু’টোরই থ্রিডি অভিজ্ঞতা হবে দর্শকদের।’
তারামণ্ডল সূত্রে জানানো হচ্ছে, থ্রিডি প্রদর্শনে বিনোদন এবং ব্রহ্মাণ্ডবিদ্যার পাঠ-দু’টোর ভারসাম্য রাখা হয়েছে। ফলে, কসমোলজির ছাত্রছাত্রীরা যেমন উপভোগ করবেন এবং অনেক তথ্য পাবেন এই প্রদর্শনের মাধ্যমে, তেমনই সাধারণ মানুষ রকেট চড়ার অভিজ্ঞতা পাবেন শহরের বুকে বসে।
প্রায় ছ’মাস সময় ধরে তৈরি হয়েছে এই থ্রিডি প্রোজেকশনের খুঁটিনাটি। যার ডিজিটাল রেন্ডারের কাজ কিছুটা হয়েছে কলকাতায়, আর বাকিটা জার্মানিতে। প্রাথমিকভাবে প্রদর্শনীটি হবে ইংরাজিতে। পরে বাংলা এবং ইংরেজিতেও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।