‘রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি নিলে মূল ও শাখা সকল নেতৃত্বকে একসঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করতে হবে। এর অন্যথা করা যাবে না’। বিষ্ণুপুরের আমতলায় জেলার সাংগঠনিক সভায় এভাবেই দলের মূল ও শাখার মধ্যেকার বিভাজনকে মুছে একজোট হয়ে চলার বার্তা দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নতুন সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী।
সাংগঠনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন আমতলায় জেলার বিধায়ক, সংসদ সদস্য, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতি, পুরসভার চেয়ারম্যান, মন্ত্রী ও শাখা সংগঠনের ব্লক সভাপতিদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ছিলেন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা, গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, রেজ্জাক মোল্লা, সংসদ সদস্য সি এম জাটুয়া, প্রতিমা মণ্ডল, শক্তি মণ্ডল ছাড়াও অধিকাংশ বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরাও। সেখানেই দলের জেলা সভাপতি জানিয়ে দেন, আগামী দিনে প্রতিটি ব্লকে ব্লকে সভা হবে। সেখানে তিনি হাজির থাকবেন। শুধু তাই নয়, প্রতিটি সভাতে যুব, ছাত্র, শ্রমিক থেকে শাখার সমস্ত সভাপতিদের উপস্থিত থাকতে হবে। সকলের যথাযথ সম্মান দিয়ে আগামী দিনে জেলার যাবতীয় কর্মসূচি সফল করা হবে।
আগামী জানুয়ারি মাসে দলনেত্রীর ডাকা ব্রিগেডে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে যাওয়ার টার্গেট বেঁধে দেন সভাপতি। পাশাপাশি আগামী লোকসভা নির্বাচনে ৪টি কেন্দ্রের প্রার্থীদের ২ লাখের বেশি ভোটে জিতিয়ে আনার শপথ নেওয়ার জন্য দলের সকলের কাছে আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘বুথ ধরে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। সেখানে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবতীয় কর্মসূচি সম্পর্কে মানুষে অবগত করতে হবে। একইভাবে বিজেপির বিভাজন নীতির ফলে দেশের দুরবস্থার কথাও তুলে ধরতে হবে’।
শুভাশিসের কথায়, ‘মূল সংগঠন হল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি তৃণমূল কংগ্রেস। তার ছত্রছায়ায় যুব, ছাত্র, শ্রমিকসহ সমস্ত শাখা সংগঠন। স্বাভাবিকভাবে দলের মূল সংগঠনের সঙ্গে শাখা নেতৃত্বকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে মূল সংগঠনকে বাদ দিয়ে শাখার কোনও অস্তিত্ব নেই। এটাই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ’।