‘আচ্ছে দিন’-এর মোহ ভেঙে গেছে পাহাড়বাসীর। তাই এবার আর বিজেপিকে ভোট দেবেন না পাহাড়ের মানুষ। মঙ্গলবার কার্শিয়াংয়ে হিল তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজনে নাগরিক সম্মিলনে যোগ দিয়ে এভাবেই বিজেপিকে বিঁধলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস।
অরূপ ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন মোর্চা নেতা তথা জিটিএ প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাং, ভাইস চেয়ারম্যান অনীত থাপা-সহ মিরিক, কার্শিয়াংয়ের চেয়ারম্যান, কালিম্পং ও দার্জিলিংয়ের নেতা-কর্মীরা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল পাহাড়ের বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠন।
মোর্চা নেতাদের পাশে বসিয়ে এদিন মন্ত্রী বলেন, ভোটের পর আর এখানে বিজেপি সাংসদরা আসেন না বা খবরও নেন না। ওঁরা ভোটের আগেই শুধু বড় বড় ভাষণ দেয়। ভোটের পরে আর ওঁদের টিকিও দেখা যায় না। ফলে শেষমেশ কিছুই পায় না মানুষ। আবার নির্বাচন আসছে, আবার ভাষণ আসবে। কিন্তু এবার মানুষ আর তাদের নির্বাচিত করবেন না। মানুষ ঠিক করেছে যে উন্নয়নের পক্ষে,তাকেই ভোট দেবেন।
তিনি আরও বলেন যে, দল আলাদা হোক, অসুবিধা নেই। কিন্তু উন্নয়নের প্রশ্নে সবাইকে এক জায়গায় থাকতে হবে। তৃণমূল ও মোর্চা দুটি আলাদা দল। ফলে রাজনৈতিক নীতিগত পার্থক্য থাকতে পারে। তবে উন্নয়ন ও প্রগতির প্রশ্নে আমরা এক। এখানেই গণতন্ত্রের সাফল্য।
মোর্চার তরফে বিনয় বলেন, পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। যেভাবে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সহযোগিতায় পাহাড়ে উন্নয়ন হচ্ছে তা এর আগে হয়নি। আগে কখনও দুই দল একসঙ্গে মেলেনি।
এদিন সম্মিলনের পরে মন্ত্রী চলে যান ডাউহিলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরির কাজ খতিয়ে দেখতে। ৩১ মার্চের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও আগামী বছরেই শেষ হবে বলে জানান তিনি।
উন্নয়নের প্রশ্নে অরূপবাবু বলেন, পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রীই শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনিই পাহাড়ের উন্নতি করছেন। এই উন্নয়ন আমাদের জারি রাখতে হবে। জিটিএ, পুরসভা, রাজ্য সরকার সবাই মিলে কাজ করছে। পাশাপাশি, স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘বিজেপি সাংসদ ভুল বুঝিয়ে ভোট লুঠ করেছেন। তিনি কেন আর পাহাড়ে আসেন না, মানুষ তা বুঝে গিয়েছে।