বিজেপির সব চেষ্টা মাঠে মারা যাবে। সুন্দরবনের নোনা জলে পদ্মফুল ফুটবে না। বিজেপিকে কটাক্ষ করে এভাবেই একের পর এক তোপ দাগলেন তৃণমূলের নেতারা। তাঁদের দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে একটা আসনও পাবে না বিজেপি নেতারা। তাই তাঁদের সুন্দরবনে আসাও ফুরোবে।
সুন্দরবনের ছোট মোল্লাখালি বাজারে সভা করে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারই পাল্টা রাজনৈতিক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। প্রধান বক্তা হিসাবে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র ছাড়া উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও রাজ্য সভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, এলাকার সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, এলাকার সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর, সমীর জানা, ছাত্রনেতা প্রণবেশ মণ্ডল প্রমুখ।
তৃণমূল আয়োজিত এই রাজনৈতিক প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন হাজার-হাজার মানুষ। তাঁদের সামনে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, ‘আমাকে ২২ মাস ধরে জেলে আটকে রেখেছিল। কিছু হয়নি। ২২ মাস কেন, ২২ বছর ধরে জেলে আটকে রেখে দিলেও কিছু হবে না। তৃণমূলই করব’। শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘এখানে বিজেপি কিছু দুষ্কৃতীদের নিয়ে সভা করেছিল। আগে তারা হার্মাদ বলে পরিচিত ছিল। এখন জল্লাদ বলে পরিচিত। বিজেপি যাই বলুক না কেন, যতই লম্ফঝম্ফ করুক না কেন, রাজ্যে তারা একটা আসনও পাচ্ছে না। সুন্দরবনের নোনা জলে পদ্ম ফুটবে না’।
অন্যদিকে বসিরহাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে ইদ্রিশ আলি বলেন, ‘ইদানীং বাংলায় বিজেপি বড্ড বেশী লাফালাফি করছে। কিন্তু যতই লম্ফঝম্ফ করুক ২০১৯ লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপি কোনও জায়গা পাবে না। বসিরহাটেও মুছে যাবে ওরা’।