রাজ্যের পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে সদাই তৎপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পর্যটক টানতে এবার দীঘা-মন্দারমণির ধাঁচে রামনগরের তাজপুর ও শঙ্করপুর পর্যটনকেন্দ্রের সৈকতেও বিশ্ববাংলা পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
দীঘা‑শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে এবং রাজ্য পর্যটনদপ্তরের অর্থানুকূল্যে পার্কগুলি তৈরি হচ্ছে। তাজপুর ও শঙ্করপুরকে দীঘার মতো সাজিয়ে তুলতে খরচ হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। দু’টি জায়গায় বিশ্ববাংলা পার্কের কাজ শেষ হলে ওই সৈকত দু’টি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এবং পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুজন দত্ত বলেন, তাজপুরের সৌন্দর্যায়নের জন্য সাড়ে সাত কোটি এবং শঙ্করপুরের সৌন্দর্যায়নের জন্য সাড়ে ছ’ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে পর্যটনদপ্তর। কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।
উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান তথা কাঁথির সংসদ সদস্য শিশির অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দীঘা সহ সব সৈকতের সৌন্দর্যায়নে বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন। কাজ শেষ করার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
তাজপুর ও শঙ্করপুরের ওই পার্কে বসে পর্যটকরা যাতে সমুদ্রের শোভা উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য মাথার উপর ছাউনি দেওয়া উন্নতমানের চেয়ার তৈরি হচ্ছে। সর্বত্রই বসছে কৃত্রিম ঘাস। সমুদ্র উপকূলের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রবেশপথের দু’পাশে থাকছে কংক্রিটের মাছ। থাকছে কংক্রিটের ডলফিন, রঙিন আলো সমৃদ্ধ ফোয়ারা। এছাড়া পর্যটকদের জন্য থাকছে রেঁস্তোরা। সেখানে মিলবে নানা লোভনীয় পদ।
কাঁথি-দীঘা ১১৬বি জাতীয় সড়কের চোদ্দমাইল থেকে শঙ্করপুর পর্যন্ত রাস্তাকে পিচের বদলে কংক্রিটের করা হয়েছে। প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ওই রাস্তার দু’পাশে এলইডি পথবাতি বসানো হয়েছে। শঙ্করপুরের ভাঙন রুখতে এবং পর্যটকরা যাতে পাড়ে বসে সমুদ্রের শোভা উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য সমুদ্রপাড়কে দীঘার আদলে কংক্রিটের করার কাজ শুরু হবে শীঘ্রই।
সব মিলিয়ে কাঁথির উপকূলে পর্যটনের মুকুটে নয়া পালক যুক্ত করতে চলেছে শঙ্করপুর ও তাজপুরের বিশ্ববাংলা পার্ক।