রাস্তা, সেতু, পানীয় জল থেকে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকাঠামোর উন্নতি করা হচ্ছে। তাই এগোচ্ছে রাজ্য। এমনটাই মনে করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রাজ্যের উন্নয়নে পরিকাঠামোকে আরও বেশী গুরুত্ব দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই পরিকাঠামোর পূর্ণাঙ্গ বিকাশে রাজ্যকে বিনিয়োগের কেন্দ্রে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তিনি। তাই বাংলাও হয়ে উঠেছে বিনিয়োগ এবং শিল্প বান্ধব।
আলিপুরে সরকারের নতুন অতিথিশালা ‘সৌজন্য’-এর উদ্বোধন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার সম্ভাবনার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে পরিকাঠামোর উন্নয়নের ভাবনা থেকেই উদ্বোধনের মঞ্চে টালিগঞ্জ, কাশীপুর, যাদবপুর-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় নতুন উড়ালপুল তৈরির ঘোষণা করেন মমতা। দক্ষিণেশ্বরের পর কালীঘাটেও তৈরি হবে নতুন স্কাইওয়াক, জানান সেকথাও। রাজারহাট, ভাঙড়, হাড়োয়ার জন্য ১ হাজার কোটি টাকার আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
দেড় লক্ষ বর্গফুট জায়গার ওপর তিন তলা ‘সৌজন্য’ ভবন নির্মান করেছে রাজ্যের পূর্ত দপ্তর। অতিথিশালায় আলোর ব্যবহার তারিফ করার মতো। নির্মানশৈলীও প্রশংসনীয়। পুরো ভবনটি ঘুরে দেখে খুশি মুখ্যমন্ত্রী। এই অতিথিশালার ভাবনা কীভাবে আসে তা জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একদিন হেস্টিংস দিয়ে যাওয়ার পথে এই জায়গাটাকে খুঁজে বের করি। যেমন গাজোলডোবার ক্ষেত্রে করেছিলাম। এই ভবনে শিল্প–বিষয়ক এবং কূটনৈতিক বৈঠক হতে পারে। দিঘাতেও একটা কনভেনশন সেন্টারের কাজ শেষ পর্যায়ে। নবান্নের পাশে ‘উপান্ন’, বিধাননগরে ‘শুভান্ন’ করেছি। সায়েন্স সিটির মতোই ‘ধনধান্যে’ নামে একটি অডিটোরিয়াম হচ্ছে। মিলন মেলাকে আরও সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে। তার পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হচ্ছে। আমি মানুষের জন্য কাজ করে চলেছি। নতুন বাংলা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এই চেষ্টা ভবিষ্যতেও জারি থাকবে’।