অন্য ‘আকাশপথ’-কেই এবার পাখির চোখ করছে রাজ্য। দক্ষিণেশ্বরের পথে হেঁটেই শহরের আরেক তীর্থস্থান, একান্নপীঠের অন্যতম পীঠ কালীঘাটে ‘স্কাইওয়াক’ তৈরির পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য সরকারি অতিথিশালা ‘সৌজন্য’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুক্রবার ওই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৫ তারিখ তা উদ্বোধন করব। দক্ষিণেশ্বরের মত কালীঘাট মন্দিরের সামনেও স্কাইওয়াক করা যায় কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুখ্যসচিব দেখছেন বিষয়টা।
তিনি আরও বলেন, জিঞ্জিরাবাজার-বাটানগর সংযোগকারী প্রায় সাত কিলোমিটার লম্বা ফ্লাইওভার তৈরির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই যাদবপুর, টালিগঞ্জ, শ্যামবাজার-সহ শহরের আরও কয়েকটি জায়গায় নতুন ফ্লাইওভার করা হচ্ছে। এই সাত বছরে অনেক কাজ হয়েছে। আরও কাজ হবে আগামী দিনে।
গতকাল সৌজন্য-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, মঞ্চ থেকেই রিমোট টিপে ভাঙড়-২, রাজারহাট এবং হাড়োয়া এলাকায় আর্সেনিকমুক্ত পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মমতা। এই প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। জল প্রকল্পের উদ্বোধনীস্থল ভাঙড়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
রাজ্যের এই নতুন অতিথিশালার স্থাপত্যের সঙ্গে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসের বেশ মিল রয়েছে। এখানে রয়েছে ন’টি স্যুইট, ব্যাঙ্কোয়েট হল, কনফারেন্স রুম এবং মিডিয়া রুম। অতিথিশালার গায়ে বাংলা ও ইংরেজিতে ‘সৌজন্য’ লেখাটি যে তাঁরই, এদিন তাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মূলত রাজ্যের অতিথি, বিদেশি অভ্যাগত এবং প্রতিনিধিদলের জন্য এই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে। শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলনে আসা বিদেশি রাষ্ট্রনায়ক এবং মন্ত্রীরাও থাকতে পারবেন এখানে।