অমৃতসরের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে ৪৮ ঘণ্টা। দশেরার শোক এখন পরিণত হয়েছে জনরোষে। রাবণ পোড়ানো অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। তাঁদের প্রশ্ন, দশেরার অনুষ্ঠান দেখতে প্রচুর ভিড় হয় জেনেও উদ্যোক্তারা কেন দর্শনার্থীদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি? এখনও বেশ কয়েকজনের খোঁজ নেই, তাঁদের সন্ধান ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতেও ফুঁসছে জনতা।
সকাল থেকেই জোড়া ফটকের সামনে রেললাইনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিল জনতা। পুলিশ রেল লাইন মুক্ত করতে লাঠি চালাতে শুরু করে। বিক্ষোভরত জনতা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। শুরু হয়ে যায় জনতা-পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ। পাঞ্জাব পুলিশের এক কনস্টেবলের চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। জখম হন বেশ কয়েকজন চিত্র সাংবাদিকও। এর পরেই ঘটনাস্থলে আরপিএফ, কম্যাণ্ডো নামানো হয়েছে।
ধোবি ঘাট মাঠে রাবণ দহন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলারের পুত্র সৌরভ মিঠু মদন। মর্মান্তিক অঘটনের পর থেকেই তিনি বেপাত্তা। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের বাড়িতেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়।
শনিবার দাহ করা হয় মৃতদের। শিবপুরীর কাছে দুর্গানিয়া মন্দিরের শ্মশান গনচিতার চেহারা নেয়। কান্নায় ভারাক্রান্ত গোটা শহর। দশেরা উৎসবের আনন্দ আর রোশনাই মিলিয়ে গেছে চিতার আগুনে। এদিনও অমৃতসরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধই ছিল।
রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নভজোৎ কৌর ও তাঁর সতীর্থদের দায়ী করে বিজেপি নেতা সুব্রক্ষণ্যম স্বামী বলেন, ‘ট্রেন চালকের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। রেল লাইনের পাশে রাবণ পোড়ানোর অনুষ্ঠানের অনুমতি কে দিয়েছে? এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন’।