বাংলায় শিল্পের পরিবেশ নেই, এটা ছিল বামেদের বড় অভিযোগ। তাদের মুখে ঝামা ঘষে চ্যাটার্জি গ্রুপ থেকে কেভেন্টার অ্যাগ্রো, বিনিয়োগ করেছে বাংলায়। ফ্লিপকার্ট জানিয়েছে তারা রাজ্যে অত্যাধুনিক লজিস্টিক হাব গড়ে তুলতে চায়। এসবের পরেও অবশ্য থামার কোনও লক্ষণ দেখায়নি সিপিএম। রাজ্যের কুড়ি হাজার ক্লাবকে সরকারি অনুদান দেওয়ার বিরুদ্ধে বামেদের তরফে আদালতে গিয়েছিলেন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। সেখানেও মুখ পুড়েছে বাংলার মার্কসবাদীদের। মামলায় হার হয়েছে সিপিএম নেতা বিকাশের। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের সিদ্ধান্তে নাক গলাবে না তারা। একইসঙ্গে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে পুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান প্রসঙ্গে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলাটিও।
আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের দাবি ছিল, কোনও সরকার দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকে ধবংস করতে এক পয়সাও খরচ করতে পারে না। এক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর রাজ্যের অর্থ দপ্তর তড়িঘড়ি ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যে অর্থ বাজেটে বরাদ্দ করা ছিল না।
বাম এবং মামলাকারীদের এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, পুজোয় অনুদান নয়, ‘সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইভ’ প্রকল্পে ক্লাবগুলিকে উৎসাহ দিতেই এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। যা আগামী বছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাছাড়া প্রাপ্ত অর্থ কীভাবে খরচ হল, তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ বা হিসাব ক্লাবগুলিকে দিতে হবে বলেও তিনি জানান।
এরপরেই আদালত জানায়, রাজ্যের সিদ্ধান্তে নাক গলাবে না আদালত, সাফ জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে খারিজ করে দেওয়া হল পুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান প্রসঙ্গে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলাটিকেও। মামলা খারিজ হওয়ার পাশাপাশি স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ায় আবার নতুন করে মুখ পুড়ল বাংলার মার্ক্সবাদীদের। শাসক শিবিরের মতে, বিষয়টি নিয়ে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিল।