জনতার আবদারের শেষ নেই। কোথাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ‘সেলফি’ তোলার জন্য হুড়োহুড়ি, কোথাও গান গাওয়ার আবদার। ফাল্গুনি সঙ্ঘে তো জনতার আবদারে ছবিও আঁকতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে। হাসিমুখে সব আবদার মেটালেন তিনি। যদিও তুলি হাতে সহাস্যে বললেন, ‘এভাবে আঁকা যায় নাকি? ট্যারা-বাঁকা হয়ে যাবে তো!’ তাতে কী? মুখ্যমন্ত্রীর সান্নিধ্যই যে চাইছেন আমজনতা।
মিনিট তিন-চারের মধ্যেই সাদা ক্যানভাসে মমতা ফুটিয়ে তুললেন নারীশক্তির রূপ। পেশাদারি দক্ষতায় আঁকলেন ছবি। উপস্থিত জনতার হর্ষধ্বনিতে তখন ফেটে পড়ছে ফাল্গুনি সঙ্ঘের মণ্ডপ। দুর্গা প্রতিমার সামনে আঁকায় মগ্ন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ক্যামেরাবন্দী করে রাখতে বারবার জ্বলে উঠেছে উপস্থিত জনতার মোবাইলের ফ্ল্যাশ। ফেসবুক লাইভে লাইক, কমেন্ট আর ইমোজির বন্যা।
বিকেল থেকে শুরু। তারপর একের পর এক পুজোর উদ্বোধন। কিন্তু তারপরেও বাকি থেকে যায় কিছু। মমতা বলেন, ‘আমার তো ইচ্ছা সব জায়গায় যাই। কিন্তু বাস্তবে সেটা তো আর সম্ভব হয় না’। পুজোর আগে দুর্যোগ নিয়েও খানিক উদ্বেগ ফুটে উঠল তাঁর কথায়। তবে জনতাকে আশ্বস্ত করলেন। বললেন, ‘পুজো কমিটিগুলি হয়তো একটু চিন্তায় আছে। দুটো দিন বৃষ্টি হবে। কিন্তু কী আর করা যাবে! প্রকৃতির ওপর তো কারও হাত নেই। তবে পুজোর সময় বৃষ্টি হবে না বলেই মনে হয়। প্রকৃতি মায়ের ওপর ভরসা করেই চলতে হবে’।
একডালিয়ার মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় একটি বেনারসি জড়িয়ে দিয়ে তাঁকে বরণ করেন সুব্রত-জায়া। মমতা সেই বেনারসি পাল্টা সুব্রতর স্ত্রীর গলায় জড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘এসব কোথায় রাখব ভাই? এত ভার বইতে পারব না’।