বাংলা থেকে বিজেপি পাবে ১৬ টি আসন! একটি বৈদুতিন মাধ্যমের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এমনই তথ্য। যা দেখে অতি বড় বিজেপি সমর্থকেরও চোখ ছানাবড়া। একটি টুইট মারফত এই ‘আজব’ সমীক্ষাকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। লিখেছেন, ‘আমি না হয় অঙ্কে কাঁচা, কিন্তু কেউ তো বলুক ভুলের জন্য ওদের কতটা ছাড় দেওয়া যেতে পারে!’
আজ সকালে একটি টুইট করে ওই বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষাকে তুলোধোনা করেছেন ডেরেক। লিখেছেন, ‘একটি সংস্থার মাধ্যমে সমীক্ষা চালিয়েছে দুটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম। ২০১৪ ভোটে বাংলায় তৃণমূলের সম্ভাব্য লোকসভা আসনের ভবিষ্যৎবাণীতে তারা ৪২ টির মধ্যে ২৪ টি আসন দিয়েছিল। বাস্তবে তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪ টি আসন। ২০১৬ বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে তারা ২৯৪ টির মধ্যে ১৬৭টি আসন দিয়েছিল। কার্যক্ষেত্রে তৃণমূল পায় ২১১ টি আসন। আমি তো অঙ্কে কাঁচাই, তবে এঁদের ভুলের মাত্রাটা কতটা কম সেটা নিয়েও কথা হোক!’’
এর আগেও লোকসভা ও বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে সমীক্ষা চালিয়েছিল তারা। নিয়ম মতো রাজনৈতিক দলগুলির সম্ভাব্য আসন সংখ্যা পেশ করেছিল। বাস্তবের সঙ্গে যার বেশীরভাগই মেলেনি। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৫ বিহার বিধানসভা ভোটে বিজেপির সম্ভাব্য আসন সংখ্যা জানিয়েছিল ১০৯ থেকে ১২৫ টি। বাস্তবে তা প্রায় অর্ধেক কমে দাঁড়ায় ৫৮ টি আসনে। গত বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভাতেও তারা বসপা-র আসন সংখ্যার ভবিষ্যৎবানী করেছিল ৯৫ থেকে ১১১ টি আসন। বাস্তবে পেয়েছিল মাত্র ১৯টি।
এখন প্রশ্ন, এমন গাদা গাদা ভুলের পরেও ওই একই সংস্থাকে দিয়ে বারবার সমীক্ষা করানো হচ্ছে কেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, জনমানসে সমীক্ষার ফলের একটা প্রভাব পড়ে। সেটাকেই রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি নেতারা। তাই পেইড মিডিয়াকে মাঠে নামিয়েছে তারা।