ইসলামপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে তড়িঘড়ি বনধ ডেকেছে বিজেপি। কিন্তু বনধ কতটা সফল হবে তাই নিয়ে সংশয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বই। একদিকে গ্যাসের ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার প্রতারণা মামলায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নাম উঠে আসছে। অন্যদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে দলের প্রাক্তন সাধারন সম্পাদক অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পাশাপাশি ওই ঘটনাতেও জড়াচ্ছে একাধিক কেন্দ্র ও রাজ্য নেতার নাম। যা নিয়ে আগামী শুক্রবার দিল্লীতে রামলাল-অমিতের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে পড়তে চলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে বুধবারের বনধের আগে রাজ্য বিজেপির ছন্নছাড়া দশা।
মূলত ইসলামপুর কাণ্ড নিয়েই বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু দিলীপ ঘোষকে সেখানে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি একবারও। গত কয়েকদিন ধরেই দিলীপ উত্তরবঙ্গে। এমনকি দক্ষিণ দিনাজপুরে থাকলেও উত্তর দিনাজপুরে দিলীপ ঘোষ কেন গেলেন না, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেছে দলের অন্দরে। যদিও দিলীপের সাফাই, আগে থেকেই কর্মসূচী ঠিক করা ছিল।
এক বিজেপি কর্মীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে দলের সাধারন সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কোনও পাত্তা নেই। দিলীপবাবু উত্তরবঙ্গে পড়ে রয়েছেন। বনধ সফল করার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে যে সমন্বয় প্রয়োজন, তার ছিটেফোঁটাও নেই।
এদিকে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ সমর্থন না করার কথা আগেই জানিয়েছিল সিপিএম এবং কংগ্রেস। রাজ্য সরকারও বনধের মোকাবিলায় কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। চালানো হচ্ছে বাড়তি যানবাহন। খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। তাই সব মিলিয়ে বিজেপির ডাকা বনধ ব্যর্থ করে জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।