১১ বছর কেটে গেছে। এখনও নন্দরাম মার্কেটের বিধ্বংসী আগুনের ভয়াবহ স্মৃতি মানুষের মন থেকে মোছেনি। সদ্য পুড়ে ছাই হয়েছে বাগরি মার্কেট। এই অবস্থায় শহরের বাজারগুলির হাল কেমন, সেটা খতিয়ে দেখার কাজ আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু করছে কলকাতা পুরসভার কমিশনারের নেতৃত্বাধীন কমিটি। ওই কমিটিতে পুরসভা ছাড়াও দমকল, পুলিশ, সিইএসসি ও বিভিন্ন বাজারের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। পুরসভার অধীনেই হোক কিংবা বেসরকারি, সমস্ত বাজারের বর্তমান অবস্থা ওই কমিটি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, কলকাতায় ছোট, বড়, মাঝারি মিলিয়ে বাজার রয়েছে ৩৫৮টি। তার মধ্যে কলকাতা পুরসভা পরিচালিত বাজার রয়েছে ৪৭টি। বাজারগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর কমিটির একটি বৈঠক হয়েছিল। কলকাতার পুর কমিশনার খলিল আহমেদ ওই কমিটির শীর্ষে। সোমবার কমিটির সদস্যেরা ফের আলোচনায় বসেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বাজারগুলির অবস্থা সরেজমিনে দেখার কাজ মঙ্গলবার শুরু হবে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাজারগুলির হাল খতিয়ে দেখার কাজ ধারাবাহিক ভাবে চলবে। কমিটির সদস্যেরা রোজই কয়েকটি করে বাজার পরিদর্শন করবেন। কমিটির সদস্যেরা পরিকল্পনা করেছেন, শহরের প্রতিটি বাজারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তার ভিত্তিতে এক-একটি বাজারের জন্য এক-এক রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবস্থা খতিয়ে দেখার পরেই কমিটি এক-একটি বাজারের জন্য নিজেদের পদক্ষেপ করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
বাজার পরিদর্শনে গিয়ে কমিটি মূলত দু’টি বিষয় দেখবে। প্রথমত, বাজারে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা আদৌ রয়েছে কি না, থাকলেও তা কাজ করে কি না, করলে কতটা কাজ করে এবং অগ্নি নির্বাপণে ব্যবসায়ী ও বাজারের কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ আছে কি না, সেটা দেখা হবে। মূলত দমকল বিভাগ এই সব বিষয় দেখবে। দ্বিতীয়ত, গত কয়েক বছরের মধ্যে শহরের বিভিন্ন বাজারে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট। সে কথা মাথায় রেখে প্রতিটি বাজারের বৈদ্যুতিক অয়্যারিং, মিটার বক্সগুলির কী হাল, সেটাও কমিটি দেখবে। এই কাজে পুরসভাকে সবরকম ভাবে সহায়তা করবে সিইএসসি।