ইসলামপুরের দাড়িভিট স্কুলে বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উর্দু এবং সংস্কৃতে শিক্ষকপদে সরকারি অনুমোদন ছিল না। নিজের ইচ্ছায় জেলা স্কুল পরিদর্শক এই কাজ করেছেন। যা সরকারকে জানানো হয়নি। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলা স্কুল পরিদর্শকদের থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের যাবতীয় নথি ৫ অক্টোবরের মধ্যে তলব করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
স্কুলশিক্ষা দপ্তরের সচিব, কমিশনার ও জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নিয়ে বিকাশ ভবনে জরুরী বৈঠক করেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ইসলামপুরের স্কুলটিতে বেআইনিভাবে উর্দু এবং সংস্কৃতের শিক্ষক পাঠানো হয়েছিল। উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ওই পদ ছিল না। নিজের ইচ্ছায় মাধ্যমিক স্তরে পদ পরিবর্তন করে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। ঘটনার পর তাঁকে সাসপেন্ড করেছে দপ্তর। পার্থবাবু বলেন, ‘দারিভিট স্কুলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক। এর পেছনে কারা ছিল খুঁজে বের করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে কঠোর হতে বলেছেন। প্রধান শিক্ষক, পরিচালন সমিতি বা পুলিশ কেউ তদন্তের বাইরে থাকবেন না। কেউ ছাড় পাবে না’।
অভিযোগ, বাম আমল থেকে ডিআই-রা ইচ্ছে মতো শিক্ষকপদ পরিবর্তন করেছেন। ২০১২ সালে এই ব্যবস্থা বন্ধ হয়। তারপরেও বেআইনি কাজ চলছে বলে অভিযোগ। স্কুল পরিদর্শকেরা এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডলের অভিযোগ, ‘ডিআই-দের মদতে বেআইনি কায়দায় পদ পরিবর্তন করে প্রচুর শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনে পদের কথা জানানোর পর তা পরিবর্তন করা যায় না। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এমন কাজ চলছে’।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘দাড়িভিট স্কুলে অনুমোদিত শিক্ষক পদের সংখ্যা ২২। ৫ জন পার্শবশিক্ষক-সহ সব পদেই শিক্ষক আছেন। এরপরেও কেউ শিক্ষক চাইতেই পারেন। কিন্তু কী এমন ঘটল যাতে অবস্থা আয়ত্তের বাইরে চলে গেল। সংগঠিতভাবে একদল লোক ছাত্রদের মৃত্যু ঘটাল। এই ঘটনা মর্মান্তিক এবং বর্বরোচিত’।