‘আমি পৃথিবী প্রদক্ষিণ করতে করতে, কত নগর-জনপথ গড়তে গড়তে, এসে দাঁড়ালাম…’। হ্যাঁ, সত্যিই। পৃথিবী প্রদক্ষিণ করতে বেরিয়ে এবার আগুনপাখি এসে দাঁড়িয়েছে টেমসের ধারে। টেমসের শীতলজলে স্নান সেরে, সে যেন গেয়ে উঠছে জীবনের জয়গান।
‘টেমস নদীর তীরে, নচিকেতার সুরে / সেনকো গোল্ডের অলঙ্কারে, মা সাজবেন এবারে’। ইতিমধ্যেই এই ব্যানারে ছেয়ে গেয়ে গোটা শ্যামবাজার থেকে ডানলপ চত্বর। ২৯ তম বছরে পড়ল বরানগরের নেতাজি কলোনি লোল্যান্ড সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো। এবার তাদের থিম এক টুকরো লন্ডন। এই পুজোরই থিম সং- এর দায়িত্বে নচিকেতা। মন্ডপে আগত প্রতিটি দর্শনার্থীই স্বাদ পাবে সেই গানের। এভাবেই নচিকেতার সুরে উত্তরের বরানগরে ডালপালা মেলেছে পশ্চিম নগর-জনপদ, কেল্লা। মাত্র ৮ মিনিটেই তৈরি হয়েছে থিম সং। সিগনেচার স্টাইলে হেসে, জানান নচিকেতা। তিনি বলেন, এটাই তার আসল আগুন। যে আগুনে হাত রাখতেই হবে। তিনি তো এই কারণেই আগুনপাখি। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি কোনও পুজোর থিম সং করলেন। এর আগে এবছরেই তিনি আরেকটি পুজোর থিম সং গেয়েছিলেন। এই গানের মত সেই গানটিরও কথা ও সুর ছিল তাঁর নিজেরই। তবে এই প্রথম বাবার সঙ্গে গানে গলা মিলিয়েছে ধানসিঁড়ি।
এ বছর নেতাজি কলোনি লোল্যান্ড- এর পুজোয় দেখা যাবে ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দের অগাস্টাস পাগিনের তৈরি নিও গথিক স্টাইলের চোখ ধাঁধানো ঘড়ি-বাড়ি। তার সঙ্গে সাজুয্য রেখে পৃথিবীর পৃথিবীর সবচেয়ে কারুকার্যময় ছাদ। ওয়েস্টমিনিস্টার হল। এখানেই শেষ নয়, মন্ডপের ভেতরের অংশে আবার ‘দ্য গ্রেটেস্ট ক্রিয়েশন অফ মেডিয়াভাল টিম্বার আর্কিটেকচার’। প্যারিস হলের ছায়া দেখা যাবে ঝাড়বাতির আনাচে কানাচে।