‘দেশে এখন সুপার ইমার্জেন্সি চলছে’ এভাবেই ফুঁসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও শিলচরে তৃণমূল কর্মীদের হেনস্থার প্রতিবাদে এভাবেই গর্জে উঠেছিলেন মমতা। বলেছিলেন, ‘বিজেপি রাজনৈতিকভাবে নিরাশ হয়ে পড়েছে। এটাই তাঁদের শেষের শুরু’। এবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে বিজেপি বিরোধী দলগুলির উদ্দেশ্যে এক হয়ে লড়ার বার্তা দিলেন মমতা।
এদিন একটি ফেসবুক পোস্টে নাম না করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। এটা দেখতে খুব খারাপ লাগে যে আমাদের মহান দেশ এই মুহূর্তে সুপার ইমার্জেন্সির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ লোকসভা ভোটে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সমমনস্ক দলগুলিকে একসঙ্গে লড়আই করতে হবে’।
গত কালই একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক এবং বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে জোট বেঁধে নির্বাচনে লড়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হারিয়ে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘বিজেপি বিরোধী দলগুলির মধ্যে সমন্বয় গড়ব যাতে তারা একসঙ্গে চলতে পারে। দেশে মোদী সরকারের শাসনে স্বৈরাচার চলছে। তবে টিএমসি কাউকে ভয় পায় না। বাংলার বুক থেকেই নবজাগরণের সূচনা হবে’।
বিজেপি বাংলাকে টার্গেট করে থাকলে তারাও ২০১৯-এ লালকেল্লাকে নিশানা করছেন জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আগে ওরা দিল্লী সামলাক, তারপর বাংলার কথা ভাবুক’। তেলেগু দেশম পার্টি মোদী সরকারের থেকে দুজন মন্ত্রীকে তুলে নিয়েছে উল্লেখ করে মমতা বলেন, শিবসেনাও জানিয়ে দিয়েছে, রাস্তা দেখে নেবে। বিজেপি কোনওমতে গুজরাটে টিকে আছে’।