দুর্গাপুজোর জৌলস বেড়েছে। পাশপাশি গ্রাম এবং শহরতলীর অনেক পুজোই টাকার অভাবে ধুঁকছে। কোনও পুজো আবার উঠে যাওয়ার মুখে। এবার নথিভুক্ত বারোয়ারি দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণায় ছোট দুর্গাপুজো কমিটিগুলিতে খুশির হাওয়া। সরকারি সাহায্যে এইসব ছোট দুর্গাপুজোগুলি টিকে থাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এর ফলে ছোট দুর্গাপুজো কমিটিগুলিতে প্রয়োজনীয় অর্থের কিছুটা জোগান দেবে সরকারি অনুদান। আর বড় দুর্গাপুজো কমিটিগুলি চায় সরকারি সাহায্যের টাকায় তাদের সমাজসেবামূলক কাজের পরিধি আরও বাড়াতে।
যেমন ৬৬ বছর ধরে হচ্ছে শোভাবাজারের কালী দত্ত স্ট্রিটের দুর্গাপুজো। অর্থের অভাবে একসময় পুজো বন্ধ হতে বসেছিল। সেইসময় এগিয়ে আসেন কয়েকজন গৃহবধূ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বটতলা থানা ও কিছু স্থানীয় মানুষ। ওই পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য মিলি দত্ত বলেন, ‘আমাদের ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ হয়। এবার মুখ্যমন্ত্রী সাহায্য করায় টাকা জোগাড় করার কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে। এর আগে ছোট পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্যের জন্য বড় পুজোগুলিকে এগিয়ে আসতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর কলকাতার কয়েকটি নামী দুর্গাপুজো এগিয়েও এসেছিল। কিন্তু তাঁদের থেকে আর্থিক সাহায্যের টাকা জোগাড় করতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হত’।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় খুশি উত্তর কলকাতার আর এক ছোট পুজো ৪৭ পল্লী। দমকলের পুজো বন্ধ হওয়ার পরের বছর থেকে পুজো হচ্ছে এখানে। পুজো কমিটির সদস্য পুষ্পক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের মতো ছোট পুজোর ক্ষেত্রে যতটুকু ছাড় পাওয়া যায় সেটাই অনেক’। মোটকথা তাঁদের মতে, যেভাবে দিন দিন খরচ বাড়ছে তাতে মুখ্যমন্ত্রীর এই সাহায্যে ধুঁকতে থাকা ছোট পুজোগুলি হাঁফ ফেলতে পারবে।