‘বিমস্টেক’ দেশগুলোকে নিয়ে ভারতের সঙ্গে প্রস্তাবিত যৌথ সেনা মহড়া থেকে নাম তুলে নিল নেপাল। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলির তথ্য উপদেষ্টা কুন্দন আরিয়াল জানিয়েছেন একথা। গোটা ঘটনার পেছনে চীনের হাত দেখছে ভারত।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা এজন্য মোদীর ব্যর্থ বিদেশ নীতিকেই দায়ী করছেন। তাঁদের মতে, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে ভারতের। সম্প্রতি কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে ভারতকে ছেড়ে চীনের দিকে ঝুঁকছে ভুটান। ভারতের এক জানলা নীতি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে তারা। শ্রীলঙ্কাও ভারতের চাপ উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত হাম্বানটোটো বন্দরের নিয়ন্ত্রণ চীনের হাতে তুলে দিয়েছে। সামরিক প্রয়োজনে এবার চীন এই বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এতে ভারতের মাথাব্যাথাই বাড়ল। সর্বশেষ সংযোজন ভারতের সঙ্গে যৌথ সেনা মহড়া থেকে নেপালের নাম তুলে নেওয়া। চীনের বন্দর ব্যবহার করা নিয়েও একটা চুক্তি করেছে নেপাল। সব মিলিয়ে মোদীর বিদেশনীতির ফলে বিপাকেই পড়েছে দেশের বর্তমান সরকার।
তবে কেন নেপাল আচমকা নাম তুলে নিল তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কুন্দন। জানা গেছে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। বিরোধের মুখে পড়তে হয় প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলিকেও। বলা হয়েছে, নেপাল ও ভারতের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক বা রাজনৈতিক সন্ধি নেই।
নেপালি বিশেষজ্ঞরাও দাবি করেছিলেন, সেনা মহড়ায় অংশ নিয়ে নেপালের কোনো লাভ নেই। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এসবি আস্থানার মতে, নেপালে ভারতবিরোধী ভাবনা বাড়ছে। যার ফলে এই সিদ্ধান্ত হতে পারে।