এবার কেষ্ট- র ধার্মিক রূপ দেখল রাজ্যবাসী। শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে কৌশিকী অমাবস্যা। তাই তারাপীঠে চলছে মা তারার বিশেষ পুজো। রবিবার মা তারার মন্দিরে নিজের হাতে পুজো দিলেন বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতি কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডল। এদিন ভোর ৪টেয় পুজো শুরু হয় মন্দিরে। মাকে স্নান করিয়ে রাজবেশে সাজানো হয়। তারপর শুরু হয় বিশেষ পুজো। অমাবস্যা লাগার পর থেকে তারাপীঠ মহাশ্মশানে শুরু হয়ে যায় মহাযজ্ঞ। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা তন্ত্র সাধকরা তন্ত্রসাধনা ও তারা মায়ের আরাধনায় বসেন।
রবিবার কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে এসে গর্ভগৃহে ঢুকে মায়ের দর্শন করেন অনুব্রত মণ্ডল। বেলা ১টা নাগাদ তিনি সদলবলে তারাপীঠের মন্দিরে আসেন। তাঁর পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি, গলায় রুদ্রাক্ষ, হাতে জবা ফুলের ডালি৷ সঙ্গী ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি অভিজিত রানা সিংহ৷ এরপর নিজের হাতে তারা মাকে লাল চোলি পরান তিনি। অঞ্জলিও দেন নিষ্ঠার সঙ্গে৷ জানা গেছে ১০৮টি জবার মালা দিয়ে পুজো দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। শিবভক্ত অনুব্রত মণ্ডল এর আগে প্রায়ই তারাপীঠে গিয়ে পুজো দিয়েছেন। মা তারা তাঁর মনস্কামনা পূরণ করে বলে তিনি দাবি করেন৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূলের সাফল্যের জন্য প্রার্থনাও করেন অনুব্রত৷ পুজো শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা রাজ্যজুড়ে যা উন্নয়ন করেছেন, তাঁকে খালি হাতে ফিরিও না। মা তুমি হিংসা দূর কর। মা তুমি সব পারো। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের সবক’টি যেন তৃণমূল পায়।’ এরপরেই জেলা সভাপতি বলেন, আগেও যেমন মা আমাকে আশীর্বাদ করেছেন, এবারও সেই আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত করেননি আমায়। রাজ্যের সব আসনে জয়ের ব্যাপারে আশীর্বাদ করেছেন৷
তবে অনুব্রতের যে রূপ এদিন দেখা গেল তা একেবারেই অচেনা। বিগ্রহের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি কোনও এক কারণে কাঁদতে শুরু করেন। যা দেখে উপস্থিত অন্যান্যরা হতবাক হয়ে যান। মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রায় আধ ঘণ্টা থাকার পর বেরিয়ে আসেন তিনি। অনুব্রতর এই কান্নার বিষয়টি তখন তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি কী প্রার্থনা করলেন মায়ের কাছে? তৃণমূলের বীরভূম সভাপতির সটান জবাব, “মানুষ যাতে মিথ্যে কম বলে মায়ের কাছে সেই প্রার্থনা করেছি। আর মাকে বলেছি ৪২টা করে দাও মা৷ মা বলেছেন, ‘৪২–এ ৪২টাই হবে’।”