হরতাল বা ধর্মঘট ডাকতে পারলে সব থেকে খুশী হয় সিপিএম। ধর্মঘটের আকছার ব্যবহার করে ধর্মঘটকে অচল পয়সা বানিয়ে ফেলেছে বামেরা। তবে ইদানীং একের পর এক ধর্মঘট ডেকে ল্যাজে গোবরে হওয়ার পর নিজেরা ধর্মঘট ডাকার সাহস কুলিয়ে উঠতে পারছে না সিপিএম। সুযোগ এনে দিল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এদিন সাংবাদিকদের পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে পথে নামার কর্মসূচীর কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে। ১১ লাখ কোটি টাকার জ্বালানি লুটের বিষয়টি মানুষের সামনে তুলে ধরতে ও রাজ্যগুলির VAT প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ১০ তারিখ বনধ্ ডাকা হয়েছে।’
সুযোগ হাতছাড়া করেনি সিপিএম। লেজুর হয়েই কংগ্রেসের এই বনধ্- কেই সরাসরি সমর্থন জানিয়ে দিয়েছে। সিপিএম- এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পেট্রলিয়াম পণ্যের দ্রুতগতিতে দাম বৃদ্ধি, চাষিদের উৎপপাদন খরচ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে এই বনধ্-কে সমর্থন জানানো হয়েছে। কিন্তু এই দেশজোড়া হরতাল যে গোটা দেশকে একদিন কর্মনাশা করে দেবে, যাতে ক্ষতির মুখে পড়বে অনেক অনেক সাধারণ মানুষই, এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে তারা। এর কোনও উত্তর নেই বা সমাধান নেই কংগ্রেস বা সিপিএম কারও কাছেই। কোনও বিকল্প পথের সন্ধান না করে, কংগ্রেসের ডাকা কর্মনাশা হরতালকে সমর্থন করে যে সিপিএম একপ্রকার লেজুড়বৃত্তির- ই নিদর্শন দিয়েছে, তা মনে করছে রাজনীতিবিদদের একাংশ। এভাবে গোটা দেশ অচল না করে, অন্যভাবেও প্রতিবাদ করা যেতে পারে বলেই অনেকের মত। কেন্দ্রীয় সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবাদ করলেও বা নানাভাবে বিজেপির বিরোধিতা করলেও, দেশজোড়া এমন কোনও হরতালকে সমর্থন করেনি তৃণমূল। বরং তারা এর বিরোধিতাই করেছে।