বাজ পড়ে বিপদ রুখতে এবার শহরের স্কুল, বরো অফিস এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পার্কে বসছে লাইটনিং কন্ডাক্টর (বজ্রপাত নিরোধক) যন্ত্র। বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন কলকাতা পুরসভার। বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে বাজ–নিরোধক যন্ত্র বসানো বাধ্যতামূলক করার ভাবনাচিন্তাও রয়েছে পুরসভার। এই বিষয়ে মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, পুর পার্কে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বসানো হয়েছে বাজ–নিরোধক। পুর আধিকারিকের কথায়, নিরপত্তার কথা মাথায় রেখেই স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাজ–নিরোধক বসানোর উদ্যোগ। কিন্তু তার আগে স্কুলবাড়ি ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির অবস্থা সমীক্ষা করে দেখা হবে। পুর ইঞ্জিনিয়ারদের মতে, লোহার একটি ফ্রেমের ওপর বাজ নিরোধক যন্ত্রটি বসাতে হয়। সেক্ষেত্রে ওই ভার নেওয়ার ক্ষমতা সেই বাড়িটির আছে কিনা আগে জানা দরকার। বাড়ির ভিত, উচ্চতা এবং অবস্থান বিচার করে নেওয়া দরকার। না হলে সমস্যা হতে পারে। তাই সমীক্ষা করে দেখা হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক পদস্থ পুর আধিকারিকের বক্তব্য, এখন বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে গেছে। গ্রাম শুধু নয়, কলকাতা শহরেই ঘটেছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে। এ ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পুরসভা আগেই পার্কে বাজ–নিরোধক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে ৩টি পার্কে বসানোও হয়ে গেছে। ১৮টি পার্কে বসানো হবে বাজ–নিরোধক যন্ত্র। পুর দপ্তরগুলিতেও বসানোর ভাবনা রয়েছে।
পুর নীতি অনুযায়ী বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখতেই হয়। অফিস হোক বা আবাসন— এই নিরাপত্তা রাখা দরকার। কিন্তু সব ক্ষেত্রে ঠিকমতো তা মানা হয় না। তাই শহরের বাজ পড়ার ঘটনা ঘটছে। বাজ–নিরোধক বসালে সেই এলাকা এবং আশপাশ সুরক্ষিত থাকে। বহুতলের ক্ষেত্রে তাই বাজ–নিরোধক বাধ্যতামূলক করা যায় কি না সেটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা রয়েছে।