কয়েকদিন আগে এই মেয়ো রোডের সভা থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। চড়া সুরে আক্রমণ শানিয়েছিলেন ‘ভাতিজা’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এবার ছাত্র-যুব সমাবেশ থেকে তার কড়া জবাব দিলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি। চড়া সুরে বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দিলে সারা বাংলায় মাত্র পাঁচ মিনিটে বিজেপিকে একাই বুঝে নেবে যুব তৃণমূল এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।’
মঙ্গলবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশেই তৃণমূলের ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই ছাত্র সমাবেশ থেকে বিজেপির সভাকে তিনি সার্কাস বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর অভিমত, অমিত শাহ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সভা করে কলুষিত করে দিয়ে গিয়েছেন। তাই গঙ্গাজল ছড়িয়ে আর গায়ত্রী মন্ত্র জপ করে শুদ্ধ করতে হয়েছে পবিত্র কলকাতার এই গান্ধীমূর্তির পাদদেশকে। অভিষেক বলেন, ‘এই মেয়ো রোডেই অমিত শাহ কয়েকদিন আগে সভা করে গিয়েছেন। কিন্তু বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার যে কাজ করেছেন এবং তৃণমূলের যা শক্তি রয়েছে, বিজেপি কোনও দিনই এরাজ্যে পা ফেলতে পারবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপির কোনও নেতা নেই বাংলায়। তাই দিল্লি থেকে নেতাকে ভাড়া করে আনতে হচ্ছে। রাঁচি থেকে প্যান্ডেলকর্মী ভাড়া করে আনতে হচ্ছে, আর ঝাড়গ্রাম-ওড়িশা থেকে লোক আনতে হচ্ছে। তারা আবার বাংলায় জেতার স্বপ্ন দেখছেন।’ এরপরেই বিজেপি-র উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, ‘২২টি লোকসভা আসনে জিতবেন বলে টার্গেট করেছেন, আগে ২২টি বুথে জিতে দেখান, তারপর ২২টি লোকসভার কথা কল্পনায় আনবেন।’
এদিন অভিষেক বলেন, ‘তৃণমূল মানুষের সঙ্গে আছে, মানুষের জন্য কাজ করছে, আমাদের সঙ্গে মানুষ আছেন। তাই, আমরা ভোটে জিতেছি, আর কোর্টেও জিতেছি।’ উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলা তৃণমূলের পক্ষে যাওয়ার পর বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছিলেন, তৃণমূল কোর্টে জিতছে, আমরা মানুষের ভোটে জিতব। সেই প্রসঙ্গেই অভিষেকের পাল্টা, ‘আমরা ভোটেও জিতি, আর কোর্টেও জিতি। মানুষের আশীর্বাদ রয়েছে আমাদের সঙ্গে, তাই বিজেপির মতো অপশক্তি আমাদের কিছু করতে পারবে না।’