ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মামলায় শাসক দলের পক্ষেই গেছে সুপ্রিম কোর্টের রায়। ঘটনায় উচ্ছ্বসিত দলের নেতা-কর্মী সমর্থকেরা। তৃণমূল নেত্রী এই জয়কে মানুষের জয় বলেছেন। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি আরও একধাপ এগিয়ে আদালতে এই জয়কে ‘বিরধীদের গালে বিরাশি সিক্কার থাপ্পর’ বলে উল্লেখ করেন। চুপ করে থাকেননি যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পুরুলিয়া বলরামপুরের রথতলা ময়দানের দলীয় জনসভা থেকে কোর্টের রায় প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা কোর্টের রায়ে জিতি। ভোটের রায়েও জয়ী হই। এই রায়কে স্বাগত। এটা গণতন্ত্রের জয়’।
জনসভায় সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মানস ভুঁইয়া, শান্তনু সেন, মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, সন্ধ্যা টুডু প্রমুখ। সভামঞ্চ থেকে অঘোর হেমব্রমকে বলরামপুরের ব্লক সভাপতি নির্বাচন করেন অভিষেক। বিজেপি-সহ অনেক বিরোধী দলের কর্মী এদিন তৃণমূলে যোগ দেন।
সভায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন সর্বভারতীয় যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-কে অপয়া দল বলে কটাক্ষ করেন তিনি। শকুনের সঙ্গে বিজেপি নেতা-কর্মীদের তুলনা করে অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি-র মতো অপয়া দল দেশের আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। শকুনের মতো আচরণ করছে ওরা। মানুষ মারা গেলে শকুন যেমন খুটিয়ে খুঁটিয়ে খায়, বিজেপি-ও তেমন মানুষের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে’। অভিষেক। সাফ জানিয়ে দেন, ‘মানুষ যাঁদের চাইছে না তৃণমূলে তাঁদের কোনও জায়গা নেই। যারা মানুষের জয়ধ্বনি নিয়ে জিতে আসবে তারাই তৃণমূলে থাকবে।
বলরামপুরের উন্নয়ন যাতে থমকে না যায় সে ব্যাপারে মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোকে নজর রাখতে বলেন অভিষেক। বলরামপুরে বিজেপি-কে জিতিয়ে খাল কেটে কুমীর আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অভিষেক।