রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে দীর্ঘ ৯ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে সম্প্রতি জুভেন্টাসে যোগ দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এর ফলে রিয়াল মাদ্রিদের স্কোয়াড থেকে ব্যালন ডি’অর জয়ী খেলোয়াড়েরও সমাপ্তি ঘটল। প্রায় ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম রিয়াল মাদ্রিদে কোনো ব্যালন ডি’অরজয়ী ফুটবলার নেই।
২০০০-০১ মরসুম থেকে শুরু হয়েছিল গ্যালাক্টিকোর নতুন যুগ। যে দলের প্রথম ব্যালন ডি’অরজয়ী ফুটবলারের তকমাটা গায়ে মেখেছিলেন লুইস ফিগো। সেবার ৬১ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তাকে রিয়াল মাদ্রিদ কিনে এনেছিল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসেই বাজিমাত করেন এই পর্তুগিজ কিংবদন্তি।
লুইস ফিগোর পর ২০০১-০২ মরসুমে রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি তারকা জিনেদিন জিদানও ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বাদ পান। সেই যে ব্যালন ডি’অর যুগে পা রেখেছিল রিয়াল মাদ্রিদ, এরপর সব মরসুমেই তাদের স্কোয়াডে কোনো-না-কোনো ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার ছিলেন।
ফিগো-জিদানের পর এই তালিকায় নাম লেখান ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদো। ২০০৩-০৪ মরসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দলে ছিলেন ব্যালন ডি’অর জয়ী তিন তারকা—ফিগো, জিদান ও রোনালদো! ফুটবল দুনিয়ার তিন নক্ষত্রের পদচারণে মুখরিত ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। এরপর ধীরে ধীরে এই তালিকাটা দীর্ঘ হতে থাকে আরও। মাইকেল ওয়েন, ফ্যাবিও ক্যানাভারো এবং রিকার্ডো কাকাও স্পেনের জায়ান্ট ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের ব্যালন ডি’অর জয়ী স্কোয়াডের গর্বিত সদস্য হন।
২০০৯ সাল থেকে ব্রাজিলিয়ান তারকা কাকার সঙ্গী হন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। গত এক দশক সিআর সেভেন একাই ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের দৌড়ে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। শেষ দুই বছর এই পুরস্কারের নাম বদলে রাখা হয় ‘দ্য বেস্ট’। এখানেও রোনালদোর দাপট। টানা দুইবার এই পুরস্কার নিজের শোকেসে তুলে নেন সিআর সেভেন।
দুই সপ্তাহ আগে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে নতুন করে ঠিকানা গড়েন এই তারকা ফুটবলার। তার আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন জিনেদিন জিদানও। যদিওবা ফরাসি কিংবদন্তি জিদান ছিলেন কোচের ভূমিকায়। রোনালদো-জিদানের বিদায়ের পর নতুন যুগে প্রবেশ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যে দলে কোনো ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার নেই। দীর্ঘ ১৮ বছরের মধ্যে এই প্রথম এমনটা দেখতে হলো রিয়াল সমর্থকদের।
২০১৮-১৯ মরসুমে দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ড জয়ের জন্য মনোনীত ১০ ফুটবলারের মধ্যে দুজন রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের। তারা হলেন—রাশিয়া বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের রাফায়েল ভারান আর টুর্নামেন্টের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ।