আমরা পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্হা বলতে সাধারণতঃ ইলেক্ট্রিক বা হাইব্রিড বা জ্বালানি সাশ্রয়কারী গাড়ীকেই বুঝি৷
হল্যান্ডের আইন্ডহোভেন ইউনিভার্সিটির একদল ছাত্র এই প্রচলিত মতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি নতুন জ্বালানি সাশ্রয়কারী গাড়ী বানিয়েছে যা কিনা মিষ্টি বিটের ফাইবার দিয়ে তৈরি৷
বিগত বেশ কিছু বছর ধরে গাড়ী নির্মানকারী সংস্থাগুলি জ্বালানি সাশ্রয়কারী গাড়ী বানাবার জন্য অল্যুমিনিয়াম বা কার্বন ফাইবার বা প্লাষ্টিক ব্যবহার করছে স্টিলের বদলে৷ কিন্তু এইগুলি দিয়ে গাড়ী বানাতে পাঁচগুণ বেশী শক্তির প্রয়োজন হচ্ছে ৷ তার মানে গাড়ী চালাতে গিয়ে যে শক্তির সাশ্রয় হচ্ছে তা গাড়ী তৈরীর সময় খরচ হয়ে যাচ্ছে ৷
শক্তি সাশ্রয়ের ভাবনা থেকেই আইন্ভহোভেন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সুগারবিটের ফাইবার দিয়ে তৈরি করে অভিনব এই গাড়ী লীনা৷
এই গাড়ীটির চেসিস্ ,বডি আর ভেতরের অংশ সুগার বিটের ফাইবার বায়ো প্লাষ্টিক দিয়ে তৈরি৷শুধুমাত্র চাকা আর সপেনশন সিস্টেম বায়ো প্লাষ্টিক দিয়ে তৈরী নয়৷
এই গাড়ীটির ওজন মাত্র ৩১০ কেজি,যা কিনা ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনকে আরো এফিসিয়েন্ট বানায়৷এই গাড়ীটি সর্ব্বোচ্চ 8০ কি.মি বেগে প্রতি ঘণ্টায় ছুটতে পারে৷
এই গাড়ীটি এখন হল্যাণ্ডের পরিবহন দপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে৷শুধু একটাই চিন্তার বিষয় যেহেতু গাড়ী টি হাল্কা তাই দুর্ঘটনায় পড়লে যাত্রীরা কতটা সুরক্ষিত থাকবে সেটাই দেখার৷
অন্যান্য গাড়ী প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি গাড়ী তৈরীর জন্য বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব জৈব পদার্থের ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষা করছে৷ জাপানের বৈজ্ঞানিকরা গাড়ী তৈরীর জন্য কাঠের ব্যবহার নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে ,অাবার ফোর্ড কম্পানি ঘোষণা করেছে যে তারা বাঁশ দিয়ে গাড়ী তৈরি করা যায় কিনা তার পরীক্ষা করছে৷
এখন সময় এসেছে মেটালের তৈরি গাড়ী কে “goodbye”জানানোর আর বায়ো প্লাষ্টিকের তৈরি গাড়ীকে “welcome” জানানোর৷