তাঁর তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার কথা অজানা নয়। এবার ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চেও দেখা গেল নির্দল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অনুষ্ঠানের শেষে মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গেল তাঁর নাম। তবে তিনি যোগ দিলেন না তৃণমূলে।
সিপিএম থেকে মুক্ত হয়েই প্রকাশ্যেই রাজ্যের উন্নয়নের প্রশংসা করেছিলেন নির্দল সাংসদ ঋতব্রত। পরে মমতা নিজেই রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান পদে ঋতব্রতর নাম ঘোষণা করেন। মমতার হাত শক্ত করতে নীরবে কাজ করে চলেছেন। এরপর এদিন ওই সাংসদের ২১শের মঞ্চে উপস্থিত হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সিপিএম আদর্শ জীবনযাত্রার দোহাই দিয়ে কুৎসা রটালেও ঋতব্রতর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন দলের বহু নেতা, কর্মী। অন্য জেলাতেও ঋতব্রত যোগাযোগ রাখচ্ছেন দলের ছাত্র, যুব ও সিপিএম নেতা, কর্মীদের সঙ্গে। এনিয়ে আলিমুদ্দিনে গুঞ্জনও কম নয়। গত সপ্তাহেই উত্তর২৪ পরগনার এসএফআই ও যুব শাখার রাজ্যকমিটির বহু নেতা যোগ দেন তৃণমূলে। এই পথের পথিক অনেকেই। আর এতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ সূর্য, সেলিম, সুজনদের।
জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপিকে হারাতে সিপিএমের অবস্থান ঘিরে বিভ্রান্তি রয়েছে দলের অন্দরেই। একদল সেই লড়াইয়ে মমতার নেতৃত্ব মানতে ইচ্ছুক হলেও বাকিরা তাঁর বিরোধীতা করে গেরুয়া বাহিনীর জমিই শক্ত করছে। ফলে বাড়ছে ঋতব্রত অনুগামীদের সংখ্যা। এই প্রবণতা বুঝেই ঋতব্রতর বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা, অপপ্রচারে নেমেছে সিপিএম। কিন্তু তাতে কী ঠেকানো যাবে দলের ভাঙন? কপালে ভাঁজ বাড়ছে আলিমুদ্দিনের।