তৃণমূলের ২১শে মানেই মনে একরাশ আশঙ্কার মেঘ কংগ্রেস, বাম ও বিজেপি নেতৃত্বের। যেন অঙ্ক মেলাতে বসা কে গেল আর কে থাকলো। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবারই বিরোধী দল থেকে ২১শের মঞ্চে তৃণমূলে যোগ দেন বহু নেতা, কর্মী। এবারও তার অন্যথা হয়নি।
প্রত্যাশা মতোই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন দুবারের বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ চন্দন মিত্র। কংগ্রেস রাজ্যে ইতিমধ্যেই সাইনবোর্ড। এরই মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিলেন মালদহের প্রাক্তণ বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, জেলার নেতা আবু তাহের, নন্দু তিওয়ারিরা। বিজেপি বিরোধী সংগ্রামে মমতার হাত শক্ত করতে তৃণমলে যোগ দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসান। পঞ্চায়েত ভোটে ঝাড়গ্রামে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। সেই সাফল্যের জাহির করতে শোনা গিয়েছিল রাজ্য বিজেপিকে। কিন্তু যাদের নিয়ে সাফল্যের ধ্বজা ওড়ানো তারাই এবার যোগ দিলেন তৃণমূলে। এদিন তৃণমূলে যোগ দেন ঝাড়গ্রামে বিজেপির ৫৬ জন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। রাজ্যের শাসক দলে যোগ না দিলেও মঞ্চে দেখা গিয়েছে নির্দল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
উন্নয়ন ও কেন্দ্রীয় জনবিরোধী নীতির লাগাতার সমালোচনাই যে মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের ইউএসপি তা আবারও প্রমাণ হল এদিনের যোগদানের মধ্যে দিয়ে।