অলাভজনক দেখিয়ে কেন্দ্র যখন চাইছে বেঙ্গল কেমিক্যাল বন্ধ করে দিতে তখনই কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মুনাফার মুখ দেখছে সংস্থাটি।২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বেঙ্গল কেমিক্যালের মুনাফা ছিল ১০.৬ কোটি টাকা। যা ২০১৬-১৭ এর লাভের চেয়ে ৬ কোটি বেশি। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে সংস্থার ব্যবসার পরিমাণ ২৩.৮৬ কোটি টাকা।
বেঙ্গল কেমিক্যালের পণ্যের বিক্রি বাড়ছে। ফলে রাজ্য জুড়ে বিপণী খোলার পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি। ৩৫টি বিপণীর মধ্যে কলকাতায় খোলা হবে ১৫টি। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে তাঁর কলকাতার বাড়িতে খোলা হবে বেঙ্গল কেমিক্যালের একটি বিপণী।
এর আগে অনলাইনে পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় শতাব্দী প্রাচীন সংস্থাটি। পরে রাজ্য জুড়ে বিপণী খোলার পরিকল্পনা করে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত কলকাতার বিভিন্ন বিপণন কেন্দ্র থেকে দিনে গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বিক্রি হয়।
১৯০১ সালে রসায়নবিদ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের হাত ধরে মানিকতলায় স্বদেশী পণ্য তারির কারখানা হিসাবে গড়ে ওঠে বেঙ্গল কেমিক্যাল। এটিই দেশে প্রথম স্বদেশী ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। দেশে বিদেশে এই সংস্থার তৈরি ফিনাইল, ন্যাপথলিন, ব্লিচিং পাউডার, সুগন্ধি তেলের চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা দিনে দিনে আরও বাড়ছে। তাই রাজ্যে বিপণী খুলে বেঙ্গল কেমিক্যালের পণ্য আরও বেশি ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হেরিটেজ সংস্থার কর্মীরা।
কর্মীদের প্রশ্ন শুধু একটাই, “এরপরও কী কেন্দ্র অলাভজনকের দোহাই দিয়ে বেঙ্গল কেমিক্যালের ঝাঁপ বন্ধ করার সিদ্ধান্তে অটুট থাকবে ?”