জাতীয় সড়কের পথ নির্দেশিকা কেন বাংলায় লেখা হবে না? এমনই দাবি তুলে সরব হল ‘বাংলা পক্ষ’। রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ইংরেজি-হিন্দির সঙ্গে বাংলায় পথ নির্দেশিকা চালু করার দাবিতে সোচ্চার হন ‘বাংলা পক্ষ’ সংগঠনের সদস্যরা। রাস্তার ধারে থাকা হিন্দি-ইংরেজি সাইনবোর্ডের নীচে নারকেল ফাটিয়ে বাংলায় প্রতীকী পথ নির্দেশিকা লাগান সংগঠনের সদস্যরা। একই দাবিতে দুর্গাপুর সংলগ্ন জাতীয় সড়ক প্রকল্প নির্দেশকের দপ্তরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।
‘বাংলা পক্ষ’ সংগঠনের কর্তা অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম ধল্ল, বাপ্পা দে বলেন, ‘আমরা বাংলা ভাষার অধিকার ফিরে পেতে চাই। তাই এটা করলাম। দুর্গাপুরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে এনএইচআই দপ্তরে । সমস্ত বোর্ড বদলাতে হবে।’নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সর্ব ভারতীয় নেতা ও অধ্যাপক এবং রানিগঞ্জের বাসিন্দা রামদুলাল বসু বলেন, ‘ত্রি-ভাষা সূত্র মানছে না কেন্দ্রীয় সরকার। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষও এক আচরণ করছেন। যে কোনও সরকারি বোর্ড বা হোর্ডিংয়ে এই রাজ্যে প্রথমে বাংলা তার পর অন্য ভাষা থাকবে। যাঁরা এটা করছেন, তাঁদের আমি চিনি না। কিন্তু এই দাবিটা সঠিক।’
বর্ধমান জেলা লিট্ল মাগাজিনের সংগঠক ও সমাজকর্মী বাসুদেব মণ্ডল বলেন, ‘শুধু জাতীয় সড়ক সংস্থা নয়, কেন্দ্রীয় সরকার রেল-কয়লা-ইস্পাত-সহ সর্বত্র বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করছে। আমরা একই দাবিতে কিছুদিন আগেই চিত্তরঞ্জন রেল কর্তাদের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। বাংলা পক্ষ-র এই দাবিকে আমরা সমর্থন জানাই।‘একই ভাবে আসানসোলে পুরসভার পক্ষ থেকে শহরে ঢোকার মুখে স্বাগত জানানোর বোর্ডটিও বাংলায় লেখার দাবি জানান বাসুদেব।