এবার চন্দন মিত্র। সুর চড়ালেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। শরিকরা উল্টো গাইছেই।
গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এসেছে চন্দন মিত্রের মন্তব্য। প্রবীণ বিজেপি নেতা চন্দন মিত্র সাংসদ ছিলেন। ছিলেন বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠও। মোদী-অমিত শাহের জমানায় ক্ষমতার বৃত্ত থেকে চন্দন কিছুটা দূরে। কিন্তু দলের বিদ্বৎ মুখ হিসেবে তিনি এখনও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। উপনির্বাচনী ধাক্কার পরে এ হেন চন্দন মিত্রের মুখে যা শোনা গেল, তা কার্যত শরিক দলগুলির কথার প্রতিধ্বনি। সংবাদমাধ্যমে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে চন্দন অত্যন্ত কঠোর মন্তব্য করেছেন। টানা ১৬ দিন ধরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরে ১পয়সা দাম কমানোর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘‘এটা একটা নিষ্ঠুর রসিকতা।’’
শরিক দলগুলির অসন্তোষ প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। বিজেপি যত আসনই পাক, শরিকরা সব সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ,মন্তব্য চন্দনের। তিনি বলেছেন, ‘টিডিপি কেন জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেল? তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ শরিক ছিল। শিবসেনা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে কেন? খতিয়ে দেখা জরুরি।‘ ‘বিজেপি কৃষক অসন্তোষকে গুরুত্ব দেয়নি বলে কাইরানাতে হেরেছে। ব্যাখ্যা চন্দনের। বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধ থাকলে ২০১৯-এ বিজেপির লড়াই খুব কঠিন হবে বলে তাঁর মত। নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের নাম করে কোনও পরামর্শ দেননি চন্দন। তবে, শরিক দলগুলির প্রতি বিজেপির মনোভাব ২০১৯-এর আগে বদলানো অত্যন্ত জরুরি বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি। পরিস্থিতি যে মোদী-শাহ জুটির জন্য ক্রমশ কঠিন হচ্ছে, উপনির্বাচনের পরে তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। জ্বালানি তেল বা রান্নার গ্যাসের দাম হোক বা কৃষি নীতি— সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ যে নানা বিষয়ে, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। গোটা বিরোধী শিবির ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের পথে। কিন্তু উল্টোদিকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে ছন্নছাড়া দশা। চাপ বাড়ছে ৬-এ দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের উপরে।