কাইরানাতে বিরোধী জোটকে হারাতে বাগপতে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও কাইরানাতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েক বার! বিজেপির আশা ছিল, বিরোধী শিবির একজোট হলেও এ বার পাশা উল্টে দেবেন প্রধানমন্ত্রী! কিন্তু ভোটের ফল বেরোনোর পরে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে, মোদী জাদু কি আর কাজ করছে না? জাতের সমীকরণ যদি কাছাকাছি আসে, বিরোধী দলগুলি যদি এককাট্টা হয়— তবে কি মোদী আর অপরাজেয় থাকবেন না? উত্তরপ্রদেশে এই ভোটের আগেই বিজেপি শীর্ষ নেতারা বুঝছিলেন, রাজ্যের জমি তাঁদের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী বদল করাও সম্ভব নয়। আর কোনও ভাবে পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছে না। এই অসহায় অবস্থার মধ্যে মোদী-জাদুর উপরে ভরসা রাখছিলেন তাঁরা। ভাবছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি সামলে দেবে বিরোধীদের সম্মিলিত আক্রমণ। কিন্তু সেই দাওয়াই কাজ না করায় এখন বিজেপির ঘরের ভিতরেই উঠছে প্রশ্ন। দলের নেতারা বুঝছেন, গোটা দেশে উপনির্বাচনে বিপর্যয়ের পিছনে শুধু মোদী বিরোধিতাই মিশে নেই। রয়েছে দলিত অসন্তোষ ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতাও।