কলকাতায় চালু হয়েছে ইলেক্ট্রিক বাস। এই বাস পরিষেবা চালু করেছে হিডকো। দূষণহীন এই বাস গত ২রা মে মহানগরের বুকে যাত্রা শুরু করেছে নিউটাউন থেকে।
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৪০টি এ ধরনের ইলেকট্রিক বাস বরাদ্দ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই সংখ্যাটি বাড়ানোর যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দূষণ কমানোর জন্যই এই উদ্যোগ রাজ্য পরিবহন দপ্তরের। তারা এই বাসের নাম দিয়েছে ‘ইলেকট্রিক বাস’। বাসগুলিতে রিচার্জেবল ব্যাটারি থাকবে। সেই ব্যাটারির বিদ্যুতেই চলবে বাস ।
জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ চালিত এই দূষণহীন বাসগুলিকে এক বার চার্জ করলে টানা ১৫০ কিমি চলবে অন্য কোনো জ্বালানি ব্যতিরেকেই। এগুলিকে আপাতত রাজারহাট এবং বিধাননগর ডিপোয় রাখার কথা চিন্তাভাবনা করেছেন কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি চার্জ দেওয়ার জন্যও তৈরি করা হয়েছে চার্জিং স্টেশন। এই চার্জিং স্টেশনগুলির আরও একটি সুবিধাজনক দিক হলো, অন্যান্য ব্যাটারি চালিত যানও এই স্টেশন থেকে নির্ধারিত মূল্যে চার্জ করাতে পারবে।
হিডকো সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাসগুলিতে ভাড়ার কোনো স্তর নেই। বাসে উঠলেই দশ টাকা খরচ করতে হবে। এর পর আর থাকবে না কোনো দূরত্বের প্রশ্ন। এমনকী, এই বাসে থাকছে না কোনো কন্ডাক্টরও। চালক নিজেই যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া সংগ্রহ করবেন।
বাসে রয়েছে একটিই গেট। যা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে খোলা এবং বন্ধ হবে। তবে টিকিট না কাটলে দরজা খোলার কোনো সম্ভাবনা থাকছে না বাতানুকুল বাসে।
ইলেক্ট্রিক বাসের পর ভলভো।
কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, কোচবিহার এবং কান্দি যাওয়ার জন্য নতুন পাঁচটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভলভো বাস চালু করল পরিবহণ দফতর। উদ্বোধন করেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।প্রতিদিন চলবে এই বাস। কলকাতা-শিলিগুড়ি রুটে দুটি, কলকাতা-কোচবিহার রুটে দুটি এবং একটি বাস চলবে কলকাতা-কান্দি রুটে। কলকাতা-কোচবিহার রুটের বাস যাবে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত। ধর্মতলা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার বাস ছাড়বে সন্ধে সাড়ে ছ’টায়। কোচবিহার যাওয়ার বাস ছাড়ার সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটা। কান্দির বাসের যাত্রাশুরু হবে বিকেল পাঁচটা বেজে দশ মিনিটে। শিলিগুড়ির ভাড়া ১২০০ টাকা, কোচবিহারের ভাড়া ১৫০০ টাকা, আলিপুরদুয়ার ১৫৫০ টাকা এবং কান্দির ভাড়া ৪৪০ টাকা।
পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দুর একের পর এক উদ্যোগ পরিবহন মন্ত্রকের মাথায় নতুন নতুন পালক যুক্ত করছে।