ব্যাঙ্ক থেকে হাজার হাজার কোটি হাতিয়ে উধাও নীরব মোদী। অথচ সুদ কমছে ব্যাঙ্ক আমানত, স্বল্প সঞ্চয়ে। আমজনতার এই ক্ষোভ আরও কিছুটা উস্কে দিয়ে জিপিএফ (সরকারি কর্মীদের) এবং পিপিএফে সুদ কমার পরে, এ বার তা ছাঁটাই হল কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডেও (ইপিএফ)।চলতি আর্থিক বছরে ইপিএফে সুদের হার ১০ বেসিস পয়েন্ট কমার ফলে এ বার ইপিএফের সদস্যদের ৮.৫৫% সুদ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। মোদী জমানায় এই নিয়ে টানা দু’বছরে সুদ মোট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমল ইপিএফে। এর আগে ২০১২-১৩ তে ইপিএফ এর সুদের হার ছিল ৮.৫%। ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ তে সুদের হার বেড়ে হয়েছিল ৮.৭৫%। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে পিএফের সদস্যরা ৮.৮০% সুদ পেয়েছিলেন। সে বছর প্রথমে সুদ কমিয়ে ৮.৭% করার প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রবল বিরোধিতার মুখে সেখান থেকে সরে আসতে হয়। যদিও পরের বছরই সুদ ১৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে করা হয় ৮.৬৫%। ২০১৭-১৮ তে সুদের হার করা হল ৮.৫৫%।
গত ২১শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ইপিএফওর ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য এই সুদের হার চূড়ান্ত করা হয়। বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়।
কিন্তু ১২ই মে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন থাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় আশঙ্কায় এই সুদের হার কমানোর বিষয়ে চুপ ছিল কেন্দ্র। নির্বাচনী।আচরণবিধি অজুহাতে অর্থমন্ত্রকও এই হারের বিষয়ে ছাড়পত্র দেয়নি তখন। নির্বাচন মিতে যাবার পর গত শুক্রবার অর্থমন্ত্রকের সম্মতি মিলেছে। এরপরই ইপিএফ ও রাদের ১২০টির ও বেশি ফিল্ড অফিসকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য এই সুদের হার দেবার নির্দেশ দিয়েছে।
মোদী আসার পর থেকেই শুরু হয় ইপিএফ-র বিশাল তহবিলকে শেয়ার বাজারে খাটাবার এবং তাকে বহুজাতিক হাঙর কুমিরদের লুটপাটের জন্য খুলে দেবার প্রতিক্রিয়া। এতে যে অল্প আয়ের লোকেদের সমস্যা হবে তাও বাজারের বিশ্লেষকরা মানছেন। কর্মীদের একমাত্র সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প পিএফ। তা থেকে আয় কমলে, তাঁরা অবসরের পরে সমস্যায় পড়বেন। শ্রমজীবী এবং নিম্নবিত্ত জনগণেরই বিপদ বাড়বে।