সমস্যায় পড়েছেন? কেউ আপনাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে? তাহলে ‘দিদিকে বলো’। গোটা বাংলা জুড়ে এটাই এখন মুশকিল আসানের নয়া মন্ত্র। অনিল কপূর অভিনীত ‘নায়ক’ সিনেমায় যেমন যে কোনও অভাব-অভিযোগ নিয়ে ফোন আসত একদিনের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। আর সেই ফোন পেয়েই অকুস্থলে ছুটে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতেন তিনি। সম্প্রতি সেই কায়দাতেই রাজ্যবাসীর নানা সমস্যার সমাধান করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি ফোন করে নিজেদের মনের কথা জানানোর যে উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাতে আপ্লুত মানুষ। ফলে অভূতপূর্ব সাড়াও মিলছে এতে। আর তা দেখেই এবার মমতার পথেই হাঁটতে চাইছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন! হ্যাঁ, শিল্পপতিদের কাছ থেকে সরাসরি কর-হেনস্থার কথা শুনতে চেয়ে এবার কিছুটা ‘দিদি’র সুরেই অর্থমন্ত্রী বললেন, ‘হেনস্থার মুখে পড়লেই আমাকে বলুন।’ একইসঙ্গে আশ্বাস দিলেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজ (পরে মৃত্যু) হওয়ার ঠিক আগে লেখা চিঠিতে আয়কর দফতরের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন ক্যাফে কফি ডে-র কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থ। কেন্দ্রের দিকে একই তির কিরণ মজুমদার শ’, মোহনদাস পাইয়ের মতো শিল্পপতিদেরও। সারা দেশে আয়কর দফতরের ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগের মুখেই শুক্রবার নিজে তা শোনার কথা বলেছেন নির্মলা। এ নিয়ে নাকি পোর্টাল খোলারও ভাবনা রয়েছে তাঁর। জানা গেছে, দেশের নানা শহরে গিয়ে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মলা। সেখানে থাকবেন আয়কর দফতর ও ইডি-র অফিসাররাও। যদিও অর্থমন্ত্রীর এই আশ্বাসে চিঁড়ে কতটা ভিজবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। শিল্পপতিরা বলছেন, রাজস্ব আদায়ের পাহাড়প্রমাণ লক্ষ্য থাকলে হেনস্থা আটকাবে কীভাবে? অভিযোগ উঠেছে সব সংস্থার জন্য কর্পোরেট কর ২৫ শতাংশ না হওয়া ও অতি-ধনীদের আয়করে বাড়তি সারচার্জ বসা নিয়ে। যার ধাক্কা লেগেছে বাজারে লগ্নিকারী বিদেশি সংস্থাগুলির একাংশের ওপরেও।






