লোকসভা ভোটের প্রচারে মাত্রাতিরিক্ত খরচ করে এবার নির্বাচন কমিশনের রোষের মুখে পড়লেন অভিনেতা তথা বিজেপির নবনির্বাচিত সাংসদ সানি দেওল। ইতিমধ্যেই তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি সাংসদ পদটিও খোয়াতে হতে পারে সানিকে।
প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর জন্য নির্দিষ্ট নির্বাচনী খরচ বেধে দিয়েছে কমিশন। যার আওতায়, এক জন প্রার্থী ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারেন। কিন্তু সানি দেওল প্রায় ৮৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন বলে সম্প্রতি একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনের কাছে। তার পরই অভিনেতাকে নোটিস পাঠানো হয় বলে জানা গিয়েছে।
নির্বাচনী খরচ সংক্রান্ত নিয়মাবলী লঙ্ঘন করলে বিজয়ী প্রার্থীর সাংসদ পদ পর্যন্ত বাতিল করতে পারে কমিশন, এমনটাই নিয়ম রয়েছে। সেই জায়গায় ওই কেন্দ্রের দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ব্যক্তিকে বিজয়ী ঘোষণা করা যেতে পারে। তাই নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে দুশ্চিন্তা বাড়ল এই অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদের।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সানি দেওল। একাধিক সফল ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে বাবা ধর্মেন্দ্রকে অনুসরণ করে সম্প্রতি বিজেপির হয়ে রাজনীতিতে পা রেখেছেন সানি দেওল। যদিও এতে খুশি হননি ধর্মেন্দ্র। যদিও নিজের কেন্দ্রে পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান সুনীল জাখরকে হারান। পঞ্জাবের গুরুদাসপুর কেন্দ্র থেকে ৮০ হাজার ভোটে জিতে সংসদেও পা রাখেন তিনি। গত মঙ্গলবার সাংসদ হিসাবে শপথ নেন পার্লামেন্টে গিয়ে। তারপরেই ঘটে এই ঘটনা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সানির।